চলমান সংবাদ

মাদক-ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা, ৭ জনের যাবজ্জীবন

কারাদন্ড চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় ৪ বছর আগে মাদক ও ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন। বুধবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.কে.এম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আজম, আলী আজগর হৃদয়, ওমর উদ্দিন, মো. ফারুক প্রকাশ আশিক, শওকত হোসেন, আশরাফুল আলম সুমন ও মো. পারভেজ। এদের মধ্যে আশরাফুল ও পারভেজ পলাতক আছেন। বাকি ৫ আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আসামি ওমর উদ্দীনকে ৩০৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে অতিরিক্ত ১০ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্র জানান, ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর এলাকায় মাদক ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মামুনুর রশিদ মামুন (২৬) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতের বন্ধু আবদুল আজিজ (২৩) নামে আরেক যুবককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম করে; পরবর্তীতে তাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়। নিহত মামুন ওই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ ইয়াছিন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। এতে অভিযোগ করা হয়, এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় মামুনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়। ২০১৯ সালের ১১ মার্চ পুলিশ সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করে। আদালত ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন। মামলায় ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আইয়ুব খান বলেন, ‘খুনের ঘটনায় আসামি আজম, আলী আজগর ও ওমর উদ্দিন খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এতে নিহত মামুনের সঙ্গে আসামিদের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্যের দ্বন্দ্ব থাকার কথা উঠে আসে। মাদকের বিরোধিতা করায় মামুনকে আসামিরা টার্গেট করেছিলেন। মামলার এজাহার, পুলিশের তদন্ত এবং সাক্ষ্যে এসব তথ্য উঠে এসেছে।’

# ২০.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #