চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে তৃতিয় শ্রেণির শিশু ধর্ষনণ, যুবক কারাগারে

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ৯ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. শাহীন (১৯) নামে এক তরুণকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় মীসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়ারহাট বাজার এলাকা থেকে শাহীনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। র‌্যাবের হাতে আটকের পর পুলিশে হস্তান্তর করা হলে তাকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার শাহীন সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের ইয়াসিন নগর এলাকার নেজাম উদ্দিনের ছেলে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর বাড়িও একই এলাকায়। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। র‌্যাব জানায়, গত ২৩ মার্চ ওই ছাত্রীর বাবা-মা প্রতিদিনের মত কাজে চলে যায়। মাদ্রাসায় ক্লাস শেষে দুপুরে শিশুটি ঘরে ফিরে। এসময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে মো. শাহীন তাকে নানা প্রলোভন ও ম্যাজিক লাইট দেখানোর কথা বলে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে শাহীন পালিয়ে যায়। পরে তারা বিষয়টি শিশুটির পিতাকে জানালে তিনি সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই শিশুকে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠান। বর্তমানে শিশুটি ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর পিতা গত ২৭ মার্চ সীতাকুন্ড থানায় মামলা দায়ের করেন। র‌্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নুরুল আবছার জানান, মামলার পর থেকে অভিযুক্ত মো. শাহীন বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল। তাকে গ্রেপ্তারে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়ারহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দূরসম্পর্কের মামার বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে শাহীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহীন শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাকে সীতাকুন্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সীতাকুন্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে র‌্যাব তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
# ৩১.০৩.২০২২ চট্টগ্রাম #