চলমান সংবাদ

বাসদের গণচাঁদায় পার্বত্য চট্টগ্রামে জমি ক্রয় এবং জাতিগত নিপীড়ন

– অপু সারোয়ার

 

১.

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান সৃষ্টির পর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্তান ভুক্ত হয় । মুসলিম প্রধান অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান গঠনের কথা ছিল। সেই সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৯০-৯৫ ভাগ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের ছিল। সেই সুবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্তানের অংশ হওয়ার সম্ভবনা ছিল না। ১৯৪৭ সালের মধ্যে আগস্টে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষিত মধ্যবিত্তের অতি ক্ষুদ্র অংশ ভারতীয় পতাকা উড়িয়েছিল। ১৪ ও ১৫ অগাস্ট ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র প্রকাশিত হয় নাই। ১৭ অগাস্ট ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র প্রকাশিত হলে স্পষ্ট যেয়ে পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্তানের অংশ। ১৭ অগাস্ট ১৯৪৭ সালে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থান নেয়এবং ভারতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতীয় পতাকার নিচে যাঁরা সমবেত হয়েছিলেন তারা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে ভারতীয় পতাকা উত্তোলনের সাথে জড়িতরা ভারতে চলে যায়। The Chakma National Council of India ১৭ অগাস্ট কালো দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।

ভারতীয় পতাকা উত্তোলনের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষদের কোন সংযোগ ছিল না। পাকিস্তান সরকার ঢালাওভাবে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম জনগোষ্ঠীকে পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে বিবেচিত করে। পাকিস্তান সৃষ্টির আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম আইন দ্বারা শাসিত হত। এই আইনের পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমিত স্বায়ত্তশাসন ছিল। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমতলের মানুষদের বসতি স্থাপন ও জমি কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। পাকিস্তান রাষ্ট্র পার্বত্য বাসীদের প্রতি সন্দেহ ও সাম্প্রদায়িক কারণে ১৯০০ সালের পার্বত্য রহিত করে। কেন্দ্রীয় শাসনের আওতায় নিয়ে আসে। শুরু হয় পার্বত্য চট্টগ্রামে সমতলের মানুষদের অভিবাসিত হওয়ার সুযোগ। ঐতিহাসিক ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংলগ্ন এলাকা গুলিতে একাধিক জাতির বাস ছিল। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শক্তি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ( ভারত – পাকিস্তান – বাংলাদেশ – বার্মা) তুলনামূলক শান্তিপূর্ন ভাবে ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এই অঞ্চল গুলিকে ভারত – পাকিস্তান – বার্মার মধ্যে ভাগ করে দেয়। এই ভাগের ফলে এই অঞ্চলের জাতি সুমূহ তাদের কৃষ্টি – সভ্যতা, স্বাধীন সত্তা ও ইতিহাসের সাথে সম্পর্ক গুলি সংখ্যাগরিষ্ট জাতি সূমহের চাপে বিধস্থ ও বিপন্নের মুখোমুখী ।

১৯৫৬ সালে , কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি বিলুপ্ত হয়েছে। প্রায় এক লাখ মানুষকে তাদের আবাসভূমি থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্পে নির্মাণের সময় এই অঞ্চলের জাতি সুমুহের মতামতের তোয়াক্কা করেনি পাকিস্তান রাষ্ট্র । কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে আবাসভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রায় চল্লিশ হাজার চাকমা ভারতের অরুণাচল প্রদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়। অরুণাচল প্রদেশে আশ্রয় নেয়া চাকমারা এখনো রাষ্ট্রহীন। ভারত কিংবা বাংলাদেশ কোনো দেশেরই নাগরিকত্ব নেই এই ভুক্তভোগীদের।

২.

১৯৪৭ সালে বৃহত্তর চট্টগ্রামে কোন স্থায়ী বাঙালী বসতি ছিল না। ছিটে ফোঁটা যা ছিল তা তৎকালীন মহুকুমা সদরের ( আজকের জেলা সদর ) গুলিতে সীমাবদ্ধ ছিল। ঐতিহাসিক ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমতল থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের উপর বৈষম্য মূলক আচরণ চলে আসছে। বাংলদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নতুন মোড় নেয় যুদ্ধকালীন সময়ে চাকমা রাজা ত্রিদিব চাকমা পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থানা নেয়। এই অজুহাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতি সুমুহের উপর স্বাধীনতা বিরোধী তকমা নেমে আসে। যদিও ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পার্বত্য জাতি সূমহের অনেকেই অংশ নিয়েছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ পর্যাপ্ত তথ্য প্রমান ও বই লেখা হয়েছে। যুদ্ধ কালীন সময়ে ও পরবর্তী সময়ে ভারতীয় রাষ্ট্র পার্বত্য চট্টগ্রামকে মিজোরাম সহ উত্তর পূর্ব ভারতের জাতিগত অসন্তোষ ও আত্ম নিয়ন্ত্রণের সংগ্রামকে দমন করতে ব্যবহার করে। ভারতীয় সমরবিদ জেনারেল উবান Phantoms of Chittagong – The Fifth Army in Bangladesh বইয়ে মিজোরাম জাতীয়তাবাদীদের দমনের বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামেরে মাটি উত্তর পূর্ব ভারতের জাতিগত নিপীড়ন বিরোধী সংগ্রামীদের দমনে ব্যবহৃত হয়েছিল সেই বিষয়ের বিতর্কের সুযোগ নেই। কারণ ভারতীয় সমরবিদ জেনারেল উবান নিজেই এই ব্যাপারে লিখেছেন। তিনি নিজে এই যুদ্ধ পরিচালনায় ছিলেন ।

জেনারেল উবানের সাথে বিএলএফ -মুজিব বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করেছিল। বাংলাদেশের বামপন্থীদের দমনের জন্য বিএলএফ -মুজিব বাহিনীর সৃষ্টি হয়েছিল এমন প্রচারণা রয়েছে। এই জাতীয় প্রচারণার পক্ষে তথ্য মূলক প্রমানের অভাব এই দাবীকে হালকা করে দেয়। তবে যুদ্ধকালীন সময়ে মুজিব বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন অংশ এবং বামপন্থীদের মধ্যে হানাহানির ঘটনা ঘটছে। বিএলএফ – মুজিব বাহিনীর অভ্যান্তরীণ বিবাদে স্বপন চৌধুরী গুম হয়েছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে যুদ্ধকালীন সময়ে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগে লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে এর প্রস্তাবক ছিলেন স্বপন চৌধুরী। যুদ্ধত্তোর কালে জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ এই স্লোগানকে আঁকড়ে ধরেছিল। স্বপন চৌধুরী গুম হওয়ার পিছনে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্ৰুপের হাতকে দায়ী করে জাসদ – ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিয়ে আসছে। তবে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে স্বপন চৌধুরী গুম নিয়ে আন্দোলন ও লেখালেখির উদ্যোগ চোখে পড়ে না। ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের ভাঙ্গন ও জাসদ সৃষ্টি কালে স্বপন চৌধুরীর নাম ও অবদান ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করে কর্মী সংগ্রহের চেষ্টা হয়েছিল। এর পর শুধু মাত্র প্রয়োজনের সময় স্বপন চৌধুরীর নাম ব্যাবহৃত তবে আসছে।

৩.

স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিসমুহের অস্তিত্ব অস্বীকার করে রচিত হয়। সংসদের ভিতরে ও বাইরে রাজনৈতিক দল গুলি উগ্র বাঙালী জাতীয়তাবাদী অবস্থানকে নিন্দা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত এম এন লারমা একাই সংবিধানের উগ্র জাতীয়তাবাদী অবস্থানের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময় থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিককরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

১৯৭৪ সালের ২৮ জুন জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রামের সামরিককরণ নিয়ে বলেন – ” অতি দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জায়গা—দীঘিনালা, রুমা ও আলীকদমে তিনটি সেনানিবাস তৈরি করা হচ্ছে এবং বান্দরবানের সোয়ালকে আরও একটি তৈরি করা হবে। এ ছাড়া রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে বিডিআর উইং হেডকোয়ার্টার তৈরি করা হবে। জানি না, কিসের জন্য সেখানে এত সেনানিবাস তৈরি করা হচ্ছে।…সেখানে চাষাবাদ করার মতো জমি খুব কম, অথচ সেই জমি দখল করে নিয়ে সেনানিবাস তৈরি করা হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন ছয়টি পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস আছে।”

গত পঞ্চাশ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামরিকরণের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বাঙালী অভিভাষণের মধ্যদিয়ে ঐতিহাসিক ভাবে বসবাসরত জাতিসমুহকে প্রায় সংখ্যালঘু করে ফেলা হয়েছে। এর সাথে চলছে ইসলামীকরণ। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বাঙালী অভিবাসনের ফলে পাহাড়ী জাতি সুমুহের জমি হাতছাড়া হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের অন্য এলাকা গুলির সাথে পাহাড়ী অঞ্চলের ভূমি মালিকানা পৃথক। ঐতিহাসিক ভাবে পার্বত্য জাতি সুমূহ ভূমির যৌথ মালিকানার ভিত্তিতে জমি ভোগ দখল করে আসছিল ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত।

৪.

ভূমিহীন বাঙালী জনগোষ্ঠীকে অভিবাসিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্টগামে বিনিযোগ করছে। এই বিনিয়োগের চাপে পাহাড়ী জনগোষ্ঠি জমি হারাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ম্যারিয়ট-চন্দ্রপাহাড় অঞ্চলে সেনাবাহিনী ও সিকদার গ্রুপের নির্মানাধীন পাঁচ তারকা রিসোর্ট নির্মাণের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। স্থানীয় পাহাড়ী জনগোষ্ঠী ” চিম্বুক পাহাড় এলাকায় নাইতং পাহাড় নামে পরিচিত স্থানটিতে রিসোর্ট তৈরির জন্য ২০ একর জমি সেনাবাহিনীকে ইজারা দিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। স্থানীয় ম্রো অধিবাসীদের দাবি, তাদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ জমি ইজারা দেয়ার সম্মতি আদায় করা হয়েছিল।” …….. ‘ বান্দরবানের চিম্বুক-থানচি সড়কের পাশে ২০ একর জমিতে ‘ম্যারিয়ট-চন্দ্রপাহাড় রিসোর্ট আ্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক’ নামে এ পাঁচতারা রিসোর্ট নির্মাণ করছে সিকদার গ্রুপের আর অ্যান্ড আর হোল্ডিংস ও সেনা কল্যাণ সংস্থা। সেখান থেকে নীলগিরি আর্মি রিসোর্ট পর্যন্ত ক্যাবল কার চালুর পরিকল্পনাও আছে তাদের। আর আন্দোলনকারীরা বলছেন, শুধু ২০ একর নয়, এসব স্থাপনার কারণে প্রকৃতপক্ষে ১ হাজার একর জমি তাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১০ হাজার মানুষ।’ – ( বিবিসি ২৭ নভেম্বর ২০২০ ) । এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে কিন্তু নির্মাণ কাজ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ছোট বড় , নামে-বেনামে অনেক বিনিয়োগের কাছে পাহাড়ী জাতি সুমুহ প্রতিনিয়ত জমি হারাচ্ছে। নিজ বাসভূমে হয়ে পড়ছে উদ্বাস্তু। যেমন ফিলিস্তানি জনগোষ্ঠী ইসরাইলী বসতি স্থাপনের মুখে নিজ বাসভূমে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে।

৫.

সাধারণ ভাবে মনে করা হয়ে থাকে বামপন্থী দল / গ্রুপ সংখ্যালঘু নিপীড়িত জাতি বা গোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলে। কিন্ত পাহাড়ী জাতি সুমুহকে ভূমিচ্যুত করার জন্য কোন বাম্পন্থীদলের বিনিয়োগ হয়ে থাকলে বিষয়টি দুঃখজনক। গণচাঁদায় সংগৃহিত অর্থের বিনিয়োগ হয়েছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায়। বাসদের তিনটি বাগান রয়েছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায়। বাসদের আভ্যন্তরীণ দলিল থেকে স্পষ্ট খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় তাদের বিনিয়োগ হচ্ছে অন্তত ২০১০ সাল থেকে । যাঁরা নিপীড়িত জাতি সুমুহের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনীতি করেন তাদের হাতেই জমি হারাচ্ছে পাহাড়ী জাতি সমূহ। বাসদের ভাঙ্গনী কূলে এই বাগান সাম্যবাদী আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় ।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সমতলবাসীদের জমি কিনতে এখনো জেলা প্রশাসনের অনুমোদন লাগে। বাসদের মত বাংলাদেশের একমাত্র বিপ্লবী দলের দাবীদারকে রাষ্ট্র কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে জমি কেনার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি কিছুটা হলেও কৌতূহলের সৃষ্টি করে। বাসদ বর্তমান রাষ্ট্র ব্যাবস্থাকে ভেঙে নতুন ব্যাবস্থা গড়তে চায়। যে রাষ্ট্র ব্যাবস্থাকে ভাঙতে চায় বাসদ , সেই রাষ্ট্র পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীনে সম্পদের মালিকানায় বাসদকে অনুমতি দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। বিপ্লবী ও পুঁজিবাদের অপূর্ব সমন্বয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি মালিকানা যেহেতু ঐতিহাসিক ভাবে যৌথ মালিকানা। সেই সত্যকে সামনে আনলে প্রশ্ন জাগে বাসদের লাল সালু কর্পোরেশন এই জমির মালিক হওয়ার আগে কোন পাহাড়ী জাতি / নৃগোষ্ঠী এই ভূমি ব্যাবহার করে আসছিল। কাদের মালিকানা ছিল এই সব পাহাড়ে ? সিকদার গ্ৰুপের ভূমি দখল আর বাসদের ভূমি দখলের মধ্যে কি কোন মৌলিক পাৰ্থক্য আছে?

————-

তথ্যসূত্র :

১. ‘Black day’ for Chakmas’ – by Sekhar Datta , The Daily Telegraph, 15 August 2016. Calcutta, India.

২. পার্বত্য চট্টগ্রাম – অভ্যন্তরীণ উপনিবেশ অবস্থার অবসান চাই- লেখক মহিউদ্দিন আহমদ । ০২ জুলাই ২০১৩ ।

৩. বিবিসি বাংলা: ম্যারিয়ট-চন্দ্রপাহাড়: সেনাবাহিনী ও সিকদার গ্রুপের নির্মানাধীন পাঁচ তারকা রিসোর্ট নিয়ে বান্দরবানে যা হচ্ছে। – ২৭ নভেম্বর ২০২০ ।

৪. দৈনিক সমকাল : চিম্বুকে হোটেল নির্মাণের প্রতিবাদে ম্রোদের লংমার্চ – ০৭ ফেব্রুয়ারি ২১ ।

৫. প্রথম আলো: চিম্বুক পাহাড়ে হোটেল নির্মাণের প্রতিবাদে ম্রোদের পদযাত্রা- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ।