চলমান সংবাদ

মাতৃভাষা দিবসেও সংঘর্ষে জড়িয়েছে মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও নিজেদের মধ্যে দন্দ্ব-বিরোধ সংবরণ করতে পারেনি চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে কলেজ ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে নগরীর চকবাজার থানা এলাকায় কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেলা ১২টার দিকে আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দেন। এরপর তারা শহীদ মিনারের একপাশে জড়ো হন। উপমন্ত্রীর অনুসারী মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পলাশের নেতৃত্বে আরেক গ্রুপ তখন শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান। শহীদ মিনারের নিচে দু’পক্ষের মধ্যে হঠাৎ কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপে জড়ান তারা। আহতরা হলেন- বোরহান উদ্দিন(২৬), রিয়াজ উদ্দিন(১৯), মো. সুলতান(১৯), প্রিন্স দাশ (১৯), মো. রাকিব(২০), এসএম ইব্রাহীম (২০), এম.এ মনির(২০), এইচ এম জাহিদ(২১), জনি দাশ(২১) ও নুর আলম(২২)। উপমন্ত্রীর অনুসারী আনোয়ার পলাশ বলেন, ‘নাছির গ্রুপের কর্মীরা বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছিল। তারা আগেই রামদা, কিরিচ, লাঠি, কাচের বোতল জড়ো করে। আমরা ফুল দিতে যাবার পর পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের চারজন কর্মী আহত হয়েছেন।’ নাছির গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা চিন্ময় ঘোষ বলেন, ‘সন্ত্রাসী বাবর আলী গ্রুপের বহিরাগতরা এসে আমাদের ওপর হামলা করেছে। এখানে কেউ মহসীন কলেজের ছাত্র ছিল না। প্রথমে তারা আমাদের এক ছোট ভাইকে চড়-থাপ্পড় দেয়। কোনো কারণ ছাড়াই এটা করে তারা উসকানি তৈরি করে। এরপর আবার হামলা করে। এতে আমাদের ৫-৬ জন আহত হয়েছেন। মহসীন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, কলেজের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আলোচনা সভা করছিলাম। হঠাৎ বাইরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনি। বাইরে বেরিয়ে দেখি শর্হদ মিনারের আশপাশে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এর আগ থেকেই অবশ্য কিছু পুলিশ সেখানে ছিল। পরে পুলিশ তিন গ্রুপকে তিনদিকে বের করে দিয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে যায়। চকবাজার থানার ওসি ফেরদৌস জাহান বলেন, ‘মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ফুল দেওয়ার সময় ঘটনা ঘটেছে। তবে ফুল দেয়া নিয়ে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে প্রথমে ঝগড়া, এরপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। তবে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। একে একে দুটি গ্রুপের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। ক্যাম্পাসে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। # ২১.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #