চলমান সংবাদ

কক্সবাজারে একদিনে চিতায় দাহ করা হল পাঁচ ভাইয়ের মরদেহ

– এলাকায় শোকের ছায়া

স্থানীয় শ্মশান ঘাটে দুপুর দুটার পর থেকে জ্বলতে শুরু করেছে চিতার আগুন। সে আগুন যেন নিভছেই না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা সাতটার দিকেও মরদেহ দাহ করার কাজ চলছিল। সুমন নাথ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় মৃত ভাইদের মধ্যে রয়েছেন বড়, মেজো ও সেজো ছেলে। চতুর্থ জন বেঁচে গেছেন। পঞ্চম ও ষষ্ঠ জন মারা গেছেন। “ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বড় ভাইকে প্রথম চিতায় ওঠানো হয়েছে। বয়োজ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এটা করা হয়। এখনো সবাইকে দাহ করার কাজ সম্পন্ন হয়নি। যিনি চট্টগ্রামে মারা গেছেন, আমরা এখন তার মরদেহের অপেক্ষায় আছি।” শ্মশানের পরিবেশ বর্ণনা করে তিনি বলছিলেন, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মৃতদের সন্তানদের মধ্যে প্রত্যেকের ছেলে মুখাগ্নি করেছেন। একে অপরের কাঁধে মাথা রেখে এই সন্তানেরা তাদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

দুর্ঘটনার পর পুরো এলাকার বহু মানুষ ভিড় করেছেন শীল পরিবারের বাড়িতে। ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম জানিয়েছেন, “ঘটনাটি সবাইকে ছুঁয়ে গেছে। সবাই মিলে তাদের মরদেহ সৎকারে সাহায্য করছে। এমন না যে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আসছেন। সবাই একত্রে সাহায্য করেছেন।” তিনি বলছিলেন, চকোরিয়া ও কক্সবাজারের মধ্যেকার প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পুরো রাস্তাটি মারাত্মক দুর্ঘটনাপ্রবণ। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর বহু পথচারী মারা যান।

# ০৮/০২/২০২২, কক্সবাজার#