চলমান সংবাদ

চমেক হাসপাতালের বিনামূল্যের সরকারি ওষুধ চুরিতে ১৫টি চক্র সক্রিয়

হাসপাতালের রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ওষুধ চুরি করে পাচারেরঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালকর্তৃপক্ষ। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গঠিত এই কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যেতাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, চমেক হাসপাতালেরবিনামূল্যের সরকারি ওষুধ চুরিতে অন্তত ১২ থেকে ১৫টি চক্র সক্রিয়। হাসপাতালের কর্মচারী,বিশেষ করে যারা আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে কাজ করে তারা, বহিরাগত দালাল এবংফার্মেসির মালিক-কর্মচারী মিলে ওষুধ চুরি করে। অন্যদিকে বিপুল সরকারি ওষুধ চুরির ঘটনায় নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করাহয়েছে। বিনামূল্যের ওষুধ চুরি করে ফার্মেসিতে বিক্রির অভিযোগে আটক চমেকহাসপাতালের দুই কর্মচারীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার চমেক গেটথেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় অন্তত সাড়ে তিন লাখ টাকার সরকারিওষুধ। গ্রেপ্তার দু’জন হলেন- আশু চক্রবর্ত্তী (৩৫) ও মো. সৈয়দ (৬২)। এরমধ্যে আশু হাসাপাতালেরস্থায়ী কর্মচারী ও সৈয়দ আউট সোর্সিংয়ের ভিত্তিতে হাসাতালে কাজ করেন। মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমানজানান, গ্রেপ্তারের সময় আশু ও সৈয়দের ব্যাগ তল্লাশি করে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়।এসব ওষুধের পাতায় ‘বিনামূল্যের সরকারি ওষুধ’ সিল দেওয়া আছে। এসব ওষুধের বাজার দর একলাখ ১০ হাজার টাকা। আশুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাসায় তল্লাশি করে আরও দুই লাখ ৪০হাজার টাকা দামের ওষুধ জব্দ করা হয়। পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, চমেকহাসপাতালের স্টোর থেকে বরাদ্দ হয়ে ওষুধগুলো ওয়ার্ডে যায়। সেগুলো বিনামূল্যে রোগীদের কাছেসরবরাহ করার কথা। কিন্তু কিছু কর্মচারী ওষুধগুলো গোপনে ওয়ার্ডের শেলফ থেকে সরিয়ে ফেলে।পরে সেগুলো বিক্রি করে দয় হাসপাতালের আশপাশে বিভিন্ন ফার্মেসিতে। গ্রেপ্তারকৃতদেরকাছ থেকে উদ্ধার করা ওষুধ চমেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর অর্থোপেডিকস ওয়ার্ড থেকে চুরিকরা। এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে গ্রেপ্তার দু’জনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতেআবেদন করা হবে। তিনি বলেন, হাসপাতালের কর্মচারী, বিশেষ করে যারা আউটসোর্সিংয়েরভিত্তিতে কাজ করে তারা, বহিরাগত দালাল এবং ফার্মেসির মালিক-কর্মচারী মিলে অন্তত ১২থেকে ১৫টি চক্র ওষুধ চুরিতে সক্রিয়। চুরির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের কাজ চলছে। সবাইকেআইনের আওতায় আনা হবে।’ চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ওষুধ চুরিরঘটনায় চমেক হাসপাতালের স্টোর অফিসার ডা. মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে নগরেরপাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া ওষুধ চুরির ঘটনা তদন্তে সার্জারিবিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
# ০৮.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #