চলমান সংবাদ

সম্পাদকীয়: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিরসনে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্হা নেয়া দরকার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে নজর দিলে বোঝা যায়, দেশের সচেতন জনগোষ্ঠীর বড় অংশেরই নজর এখন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের চলমান আন্দোলনের উপর। শিক্ষামন্ত্রীও আলোচনা করতে চেয়েছেন আন্দোলনকারীদের সাথে। যদিও ছাত্রদের সুস্পষ্ট দাবী ভিসির পদত্যাগ ছাড়া আর কোন আলোচনা নয়, মানে ভিসির পদত্যাগের ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি বাদে তিনি কী আলোচনা করতে চান তা বোধগম্য নয়। ছাত্ররাই বা তাদের আন্দোলন ছেড়ে এসে আলোচনায় বসতে রাজী হবে কেন আমাদের তা আমাদের বোধগম্য নয়।

একজন শিক্ষক ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার সন্তানতুল্য ছাত্রদের উপর পুলিশ লেলিয়ে দেবেন, পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদের উপর লাঠি-গুলি-টিয়ার গ্যাস ছুড়ে দমন-পীড়ন চালাবেন-এটা সভ্য সমাজের কেউ মেনে নিতে পারেনা। তরুণ ছাত্ররাও মেনে নিতে পারেনি। তারা গত কদিন ধরে লাগাতার অনশন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মনোবল প্রশ্নাতীত। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় ধরে অনশন চালিয়ে যাওয়া যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। আশা করছি সরকার বা প্রশাসন এক্ষেত্রে স্বপ্রনোদিত হয়ে ব্যবস্হা নেবে। এছাড়াও দেশের শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী- বুদ্ধিজীবিসহ সচেতন মহলের সকলকেও মানবিক বিবেচনায় সমস্যা সমাধানে নিজ নিজ অবস্হান থেকে সচেস্ট থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

একমাত্র স্বার্থান্বেষী মহল বাদে মনে হয়না এই ভিসিকে রক্ষার পক্ষে কেউ আছেন। তাই ভিসিকে পদত্যাগে বাধ্য করতে সরকারের দ্বিধা থাকা যুক্তিসঙ্গত নয়। প্রয়োজনে অপসারণ করার উদ্যোগ নিন। কোন যুক্তিতেই ভিসি রক্ষা করার সিদ্ধান্ত গ্রহনযোগ্য নয়। শাহজালাল বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত ছাত্ররা আমরণ অনশন করছে। ইতিমধ্যে তাদের অনশনের সময় ৫ দিন অতবাহিত হয়েছে। ছাত্রদের অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে। যেকোন সময় অঘটন ঘটে যাওয়ার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায়না। তাই একটা খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আগেই দ্রুত ব্যবস্হা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

—— প্রগতির যাত্রী সম্পাদকীয় ডেস্ক।