চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ উর্ধগতি, একদিনে শনাক্ত ১৩৪৮

চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণে গতি পেয়েছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্তের হার। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবেই আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। শিথিল বিধিনিষেধের কারণে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলেও শঙ্কা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাক্স পরিধান করা এবং ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। চট্টগ্রামে নতুন বছরের প্রথম দিনে (১ জানুয়ারি) ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ঝড়োগতিতে এগোচ্ছে করোনা। মঙ্গলবারের (২৫ জানুয়ারির) প্রতিবেদনে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ৩৪৮ জনের। শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৫ দিনে শনাক্ত ১১ হাজারের কাছাকাছি। অথচ এর আগের তিন মাসে এক হাজার রোগীও শনাক্ত হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চট্টগ্রামের পর্যটন স্পটগুলোতে এখনো ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে। গণপরিবহন, শপিংমল, পর্যটন স্পট কোথাও পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মানুষের উদাসীনতা ও অবহেলায় সংক্রমণ বাড়ছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২টি ল্যাবে ৩ হাজার ৬৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ৩৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত প্রায় ছয় মাসে একদিনে এত করোনা রোগী চট্টগ্রামে শনাক্ত হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সাড়ে তিন মাস পর একদিনে এত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ৬ অক্টোবর একদিনে তিন জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। নতুন শনাক্ত ১৩৪৮ জনের মধ্যে ৯১৯ জন মহানগরের এবং ৪২৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬০ জন। এর মধ্যে নগর এলাকায় ৮২ হাজার ৭৮০ জন এবং উপজেলায় ৩০ হাজার ৬৮০ জন। এছাড়া চট্টগ্রামের করোনায় মোট মারা যাওয়া ১ হাজার ৩৪৬ জনের মধ্যে ৭২৮ জন নগরের এবং ৬১৮ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রামে ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ওই বছরের ৯ এপ্রিল করোনায় প্রথম কেউ মারা যান। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। বিধিনিষেধের মধ্যেও মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে মানুষ উদাসীন। সার্বক্ষণিক মাস্ক ব্যবহার এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে জনসমাগম কমাতে হবে। পাশাপাশি যে নীতিমালাগুলো দেওয়া হয়েছে, সেসব মানতে হবে। না হলে সংক্রমণ হু হু করে বাড়বে। # ২৫.০১.২০২২ চট্টগ্রাম #