চলমান সংবাদ

সাগরে র‌্যাবের অভিযানে জলদস্যু নেতা কবীরসহ ১৫ জন গ্রেফতার

বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার গভীর সমুদ্রে ফিশিং বোটে হামলা ও দস্যুতা থামছে না। মাছ ধরার মৌসুম শুরু হলেই বাড়ে জলদস্যুদের তৎপরতা। জেলেদের নির্মমভাবে মারধরের ফলে যারা অসুস্থ হয়ে পড়ে তাদের ফেলা দেয়া হয় সাগরে। সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটে গভীর সমুদ্রে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে র‌্যাব অভিযানে নামে। তারা বাঁশখালী-পেকুয়া-কুতুবদিয়ার কুখ্যাত জলদস্যু কবীর বাহিনীর প্রধানসহ মোট ১৫ জনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। শুক্রবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনের একটি জলদস্যু দলকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হল – মোঃ নুরুল কবির, মোঃ মামুন, নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, মো. হাসান, মোঃ আব্দুল হামিদ ওরফে কালা মিয়া, আবু বক্কর, মোঃ ইউসুফ, গিয়াস উদ্দিন, মোঃ সফিউল আলম ওরফে মানিক, আব্দুল খালেক, রুবেল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম জিকু, মোঃ সুলতান এবং মনজুর আলম। এদের মধ্যে নুরুল কবীর হল বাহিনীর প্রধান আর তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হল মামুন। তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশী পিস্তল, ৬টি ওয়ানশুটার গান, ৪ টি কার্তুজসহ বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ১ নবেম্বর জলদস্যুদের আত্মসমর্পনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে ডাকাত, জলদস্যু ও বনদস্যু মুক্ত ঘোষনা করেন। এরই প্রেক্ষিতে সুন্দরবন এলাকায় বসবাসকারী জেলেরা স্বস্তির সাথে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ করে আসছে যা দেশের অর্থনৈতিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। তবে হঠাৎ করে আগের মত সাগরে জলদস্যুদের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। গত ১৪ জানুয়ারি ১৭ জন জেলেকে অপহরণ করে ২ লাখ টাকা আদায়ও করে। এর মধ্যে একজনকে নৃশংসভাবে নির্যাতন করে। ওই জেলে অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে সাগরে ফেলে দেয়। তার খোঁজ এখনও মিলেনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চার জলদস্যুকে গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জলদস্যুদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।
# ২২.১.২০২২ চট্টগ্রাম #