চলমান সংবাদ

মশার উৎপাতে জনজীবন অতিষ্ঠ

মশা নিধনে এবার মাঠে নামছে ‘আলাদা ফোর্স’ মশার উৎপাতে চট্টগ্রাম নগরীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রাতেতো বটেই, দুপুর কিংবা বিকেলেও মশার ভয়াবহ উৎপাত। নগরবাসীর দুর্ভোগের অপর নাম এখন মশার অত্যাচার। মশা নিধনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নানা কর্মযজ্ঞের কথা বললেও, কার্যত কোন উদ্যোগই কাজে আসছে না। এদিকে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম তেমন জোরালো নয় বলেও অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। মশার উৎপাত না কমে বরঞ্চ বেড়েছে। তবে নানা ফর্মূলা প্রয়োগ শেষে মশক নিধনে এবার আলাদা ফোর্স নামানোর কথা ভাবছে চসিক। মশা নিধনে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু তাতে সুফল মিলে খুব কমই। সম্প্রতি এক গবেষণায়ও উঠে আসে বর্তমানে ব্যবহৃত কীটনাশকের কার্যকারিতা মাত্র বিশ শতাংশ। এরপর কীটনাশকে পরিবর্তন এনেও অন্য ওষুধ ব্যবহার শুরু করে চসিক। কিন্তু কোন উদ্যোগই কাজে আসেনি। মশার উৎপাত কমেনি। চসিকের কর্মকর্তারা বলছেন, নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধনে দায়িত্বরত আছেন ৪ জন করে সেবক। কিন্তু বিভিন্ন সময় অভিযোগ পাওয়া যায়, কাজ না করে বসে থাকেন তারা। তাই মশক নিধনে কারা কাজ করছেন তা সহজেই চিহ্নিত করার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চসিক’র উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘মশার ওষুধ ছিটাতে যারা কাজ করছেন তাদের আলাদা রঙের পোশাক দেওয়া হবে। কাজ মনিটরিংয়ের সুবিধায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ গত মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) চসিকের ১১তম সাধারণ সভায় মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিক মশা নিধন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও আলোকায়নকে অগ্রাধিকার দেয়। মশক নিধনে আলাদা ফোর্স গঠন করা হবে। এদের আলাদা পোশাক হবে। মশক নিধনে যে ওষুধ ছিটানো হয় তার কার্যকারিতা যাচাই করা হবে। মেয়র রেজাউল বলেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার সুবিধার্থে নগরীকে ৬টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন অবহেলা গ্রাহ্য হবে না। দায়িত্ব পালনে কেউ ব্যর্থ হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
# ৩০.১২.২০২১ চট্টগ্রাম #