চলমান সংবাদ

ডাকাতি ও ধর্ষনের দায়ে পাঁচজনের ২ বার করে যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার এক বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি ও নারী ধর্ষণের মামলায় পৃথক ধারায় পাঁচজনকে দুই বার করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬’র বিচারক মো. মঈন উদ্দীন এ রায় দেন। দন্ডিতরা হলেন- মিজান মাতব্বর প্রকাশ শহিদুল ইসলাম (৪৫), আবু সামা(৩৭), মহিদুল ইসলাম মুন্সি প্রকাশ রুবেল (৩১), জহিরুল ইসলাম প্রকাশ জহিরুল হাওলাদার (২৪), ইলিয়াছ শেখ (৩৬)। আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নান মেম্বার রায়ে খালাস পেয়েছেন। আসামিদের মধ্যে ইলিয়াছ শেখ পলাতক আছেন। প্রত্যেক আসমিকে ৬০ বছর করে কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির অভিযোগে দন্ডবিধির ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারায় ৫ আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ডাকাতি করতে ঢুকে ওই বাড়িতে নারী ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩)/৩০ ধারায় একই সাজা ঘোষণা করেছেন বিচারক। এদের মধ্যে চারজন হাজতে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন একজন। রায় অনুযায়ী, দুই অপরাধে যাবজ্জীবন সাজা ও অর্থদন্ড একটার মেয়াদ শেষ হলে অপরটি শুরু হবে। অর্থাৎ দুই ধারায় তাদের ৩০ বছর করে মোট ৬০ বছর কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। আদালত একজনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন। খালাসের আদেশের বিষয়ে আমরা অসন্তুষ্ট। এটি পুনরায় বিবেচনা করার জন্য আমরা আদালতে আপিল করবো।’ আদালত সূত্র জানান, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে এক প্রবাসীর বাড়ির গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাতরা। তারা তিন প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের এক বোনকে ধর্ষণের পর মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার নারীরা ঘটনার পরদিন মামলা করতে গেলে ঠিকানা জটিলতার কথা বলে মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে স্থানীয় সাংসদ ও ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে পাঁচদিন পর মামলা নেয় পুলিশ। ভিকটিমের আত্মীয় রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। ঘটনার ২১ মাস পর ২০১৯ সালের ৩০ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
# ০৯.১২.২০২১ চট্টগ্রাম #