চলমান সংবাদ

লোহার প্লেটের আঘাতে সলিমপুরে এন.বি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডে একটি পুরাতন জাহাজ ভাঙা কারখানায় দুর্ঘটনায় মোঃ মনির আহমেদ(৩৭) নামে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  আজ বৃহস্পতিবার (২ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ১০ নং সলিমপুর ইউনিয়নের সাগর উপকূলে অবস্থিত এন.বি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক সলিমপুর গ্রামের মৃত মুনছুর আহমেদের পুত্র। জানা যায়, সকালে ইয়ার্ডে কাজ করার সময় একটি লোহার প্লেট মনিরেে মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করলে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি স্বীকার করে এন.বি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের সত্বাধিকারী মোঃ তছলিম উদ্দিন বলেন, সকালে ইয়ার্ডে কাজ করার সময় মাথায় লোহার আঘাত পান এক শ্রমিক। আমরা সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর ১২ টার সময় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন,সলিমপুর এলাকায় একটি জাহাজ ভাঙা কারখানায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জাহাজভাঙ্গা শ্রমিক নিহতের ঘটনায়  ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের ক্ষোভ প্রকাশ

আজ সকালে সিতাকুন্ড উপজেলার সলিমপুরে অবস্থিত এন বি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে কর্মরত মোঃ মনির আহমেদ নামে একজন শ্রমিক লোহার প্লেট দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত ঘটনায় জাহাজ ভাঙ্গা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের আহ্বায়ক তপন দত্ত এবং যুগ্ম আহ্বায়কদ্বয় যথাক্রমে  মু. শফর আলী, এ এম নাজিম উদ্দিন এক যুক্ত বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতি বছর জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প খাতে কাজ করতে গিয়ে প্রচুর শ্রমিক আহত ও নিহত হচ্ছে অথচ সরকার, প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং মালিক পক্ষ জাহাজভাঙ্গা শিল্প খাতে কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তেমন কোন কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছেনা-যা শ্রমিকদের জীবনের প্রতি চরম অবহেলা এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তারা  জাহাজভাঙ্গা শিল্প খাতে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনমান রক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য রাষ্ট্র ও মালিক পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

শ্রমিক নেতৃবৃন্দ নিহত শ্রমিককে “লস অফ ইয়ার আর্নিংস, সাফারিংস এন্ড পেইন” এর ভিত্তিতে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরন এবং শ্রম আইনের ৯৯ ধারা এবং জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরন আইন ২০১৮ এর ২০ ধারা অনুযায়ী গ্রুপ ইন্সুরেন্সের ২ লক্ষ প্রদানেরও দাবী জানান।

নেতৃবৃন্দ একইসাথে নিহতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।