চলমান সংবাদ

বুলগেরিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় শিশুসহ কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত

বাসটিতে দুর্ঘটনার আগে নাকি পরে আগুন ধরেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বাসটিতে দুর্ঘটনার আগে নাকি পরে আগুন ধরেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বুলগেরিয়ায় একটি বাস বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার পর ১২টি শিশুসহ অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির রাজধানী সোফিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে বোসনেক নামে একটি গ্রামের কাছে স্থানীয় সময় ভোররাত দুইটার দিকে একটি মোটরওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বাসটি উত্তর মেসিডোনিয়ার নিবন্ধিত এবং তুর্কি থেকে ফিরে আসা একদল পর্যটককে বহন করছিল।

দুর্ঘটনা ও আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, বাসটিতে আগুন লেগেছে এবং তারপর বিধ্বস্ত হয়েছে নাকি বিধ্বস্ত হওয়ার পরে আগুন ধরে গেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

কর্মকর্তারা বলেছেন যে, গাড়িটি আগুন ধরার আগে বা পরে মহাসড়কের বেস্টনীতে গিয়ে আঘাত করেছিল বলে মনে হচ্ছে।

আগুনে পুড়ে আহত সাতজনকে সোফিয়ায় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী স্টিফান ইয়ানেভ এই ঘটনাকে ‘বড় ধরণের মর্মান্তিক ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আশা করছি যে আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে শিক্ষা নেব এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে পারব ।”

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মেসিডোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুজার ওসমানি বলেছেন, বাসে থাকা যাত্রীদের ওই দলটি তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলে ছুটি উদযাপন শেষ করে রাজধানী স্কোপিয়াতে ফিরছিলেন।

স্ট্রামা মোটরওয়েতে ওই দুর্ঘটনার পর আশেপাশের এলাকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলের ফুটেজে আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়িটিকে দেখা যাচ্ছে।

বুলগেরিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেল বি টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর, বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বয়কো রাশকভ বলেছেন, নিহতদের দেহ “সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে”।

মেসিডোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জোরান জায়েভ ইতিমধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করতে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করেছেন।

সূত্রঃ বিবিস বাংলা