মতামত

মোঃ ফরহাদ কিভাবে ‘মোঃ ফরহাদ’ হলেন? ২য় পর্ব

-এম. এম. আকাশ

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও মোহাম্মদ ফরহাদ

এরকম একটা কথা প্রচলিত আছে যে কমিউনিস্টরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বের পদে অধিষ্ঠিত হতে ব্যর্থ হয়েছিলেন কারণ তারা জাতীয় দাবী স্বাধীনতাকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দিতে পারেন নি। তারা এক পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্যেই সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবকে অধিকতর গুরুত্ব দিতে গিয়ে স্বায়ত্বশাসন এবং শেষ পর্যন্ত স্বাধীন পূর্ববাংলা গঠনের দাবিকেও “স্পীয়ার হেড” করা বা সেই আন্দোলনের চ্যাম্পিয়ান হিসাবে বের হয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি কখনো কখনো “জয় বাংলার” বিপরীতে তারা জয় সর্বহারা শ্লোগান দিয়ে মারাতœক রাজনৈতিক ভুলও করেছেন। অন্যদিকে চীন বা ভিয়েতনামের কমিউনিস্টরা জাতীয় স্বাধীনতার আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিয়ে তাকে সফল করে প্রগতিশীল পথে অগ্রসর করে নিতে সক্ষম হয়েছিল। তাই সেসব দেশে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রাম সাবলীলভাবে পরস্পর গ্রথিত হয়ে এগিয়ে গেছে। আমাদের মত রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের পর তা সংহত হওয়ার আগেই পশ্চাঁদপসারণের বিপত্তি সে সব দেশে ঘটে নি।
তবে উপরোক্ত বর্ণনাটি সর্বাংশে সঠিক নয়। কমিউনিস্টদের মধ্যে চীনপন্থী ধারাটির ক্ষেত্রে এই বক্তব্য ঐতিহাসিক ভাবে অনেকখানি সত্য হলেও মস্কোপন্থী হিসাবে পরিচিত কমিউনিস্টদের ক্ষেত্রে এই অভিযোগটি ঠিক সেইভাবে সঠিক নয়। চীনপন্থী কমিউনিস্টদের সেই সময়কার অবস্থান বর্ণনা করতে গিয়ে কমরেড হায়দার আকবর খান রনো যথার্থই লিখেছেন,
“এই দলগুলো সকলেই আওয়ামী লীগের বিরোধী ছিল। বাম কমিউনিস্টদের মধ্যে শেখ মুজিব সম্পর্কে ধারণা ছিল, তিনি আমেরিকার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সম্পর্কিত। তখন আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের সঙ্গে ভাসানী সমর্থক ন্যাপ বা বিভিন্ন কমিউনিস্ট গ্র“পের ছোট-খাট সংঘর্ষ হয়েছিল। দুই পক্ষের মধ্যে শ্লোগানের প্রতিযোগিতাও ছিল। আওয়ামী লীগ বলতো ‘জয় বাংলা’। কমিউনিস্টরা বলতো ‘জয় সর্বহারা’।” [হায়দার আকবর খান রনো, শতাব্দী পেরিয়ে, ২০০৫, পৃ:-২১৪]
পক্ষান্তরে মোঃ ফরহাদের বক্তব্য ও পার্টির দলিলপত্র থেকে প্রতীয়মান হয় যে এই বিশেষ ক্ষেত্রে মস্পোপন্থী কমিউনিস্টদের বিবেচনা ছিল অপেক্ষাকৃত প্রাগসর (গধঃঁৎব) ১৯৬৮ সালে অনুষ্ঠিত “মস্কোপন্থী” কমিউনিস্টদের প্রথম কংগ্রেসে গৃহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছিল,
“পাকিস্তান রাষ্ট্রের গঠন বৈশিষ্ট্য এখানকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারা ও প্রকৃতি, পাকিস্তানকে বিভিন্ন অঞ্চলের ভিতর অসম সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিকাশ, ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা, এখানকার জাতিসমূহের লেনিনবাদী আত্মনিয়ন্ত্রণের নীতির স্বীকৃতি প্রভৃতি বাস্তব বিষয় বিচার করিয়া পূর্ব বাংলায় স্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার বিশেষ দায়িত্ব পালন করিতে হইবে।”
(পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির কর্মসূচী, ১৯৬৮,পৃ: ৩৩)

অতএব দেখা যাচ্ছে “স্বাধীনতার” ব্যাপারটি যে ঘটবে তা “মস্কোপন্থী” পার্টির নেতৃবৃন্দ ১৯৬৮ সালে সঠিকভাবেই অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে নীতিগত অনুধাবন এবং বাস্তব অনুশীলনীর মাধ্যমে জনগণের সামনে তা প্রস্ফুটিত করে তোলা এক জিনিস নয়। নেতৃত্বের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় মেলে চিন্তাকে কার্যে পরিণত করার মুহুর্তটিতে এবং সেখানেই তার পারঙ্গমতার পরীক্ষা! সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কোন সীমাবদ্ধতা ছিল না হলে কেন জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম ও আরো আগে ৬ দফা তা স্বায়ত্বশাসনের সংগ্রামের নেতৃত্ব কেন কমিউনিস্টদের হাত গলিয়ে জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের হাতে চলে গেল। এই প্রসঙ্গে একটি ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী এখানে তুলে ধরা প্রাসঙ্গিক হবে। ছাত্র ইউনিয়নের বিশিষ্ট প্রাক্তন নেতা সামসুদ্দোহা তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন, “১৯৭১ সালের ২২শে ফেব্র“য়ারী ছাত্র ইউনিয়নের একুশের অনুষ্ঠানে আমি বক্তৃতা দেয়ার জন্য আহুত হই। সে সভার সভাপতি ছিলেন আবুল হাসনাত। তখন আমরা পাকিস্তানের বিভিন্ন ভাষাভাষি জনগণের আতœনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলতাম। এই সভায়ও এমন একটা বলব এটাই ঠিক ছিল। সভা চলাকালীন হঠাৎ আমি ফরহাদ ভাইয়ের চিঠি পাই। তাতে মার্চে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন না বসলে পূর্ববাংলা স্বাধীনতার পথে অগ্রসর হতে বাধ্য হবেÑ এই পয়েন্টসের উপরই মূল গুরুত্ব দিয়ে বক্তৃতা করতে ফরহাদ ভাই পরামর্শ দেন। —-আমি ছাত্র ইউনিয়নের সেই সভায় স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেদিলাম—-।” [“স্মৃতিচারণ, সামসুদ্দোহা, ২০-৪-৮৯]
নিজের নাম উলে­খ না করে পরবর্তীতে মোহাম্মদ ফরহাদ এই বিষয়ে বলেন,
“৭০ এর সাধারণ নির্বাচনের পর ইয়াহিয়া-ভূট্টোর চক্রান্তের প্রকৃত স্বরূপ উদ্ঘাটন করে ‘৭১ এর ২২শে ফেব্র“য়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র ইউনিয়নের তদানীন্তন নেতা সামসুদ্দোহা স্স্পুষ্ট ভাবে ঘোষণা করেন যে, ‘ইয়াহিয়া-ভূট্টোর চক্রান্তের জবাব হবে স্বাধীন বাংলা কায়েম করা। আমার জানা মতে কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘স্বাধীন বাংলা’ কায়েমের বিষয়ে এরকম প্রকাশ্য ঘোষণা হিসাবে এটাই ছিল প্রথম ঘোষণা”
[মোঃ ফরহাদ, “দেশপ্রেমের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে সংগঠন”, গৌরবের সমাচার, পৃ:-১৪]
যাই হোক, এ বিষয়ে এত বিস্তৃত ও উধৃতিবহুল বর্ণনাটি দেয়ার উদ্দেশ্য এটা প্রমাণ করা নয় যে “কমিউনিস্টরা” জাতীয়তাবাদীদের চেয়ে আগেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের কৃত্রিমতা অনুধাবন করে স্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ কায়েম করতে চেয়েছিলেন, বরং এটাই দেখানো যে সঠিক অনুধাবনের পরেও সেই সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করা কমিউনিস্টদের পক্ষে সম্ভব হয় নি।
এই একই কথা আরো বেশী প্রবলভাবে সত্য ছিল “চীন পন্থী” কমিউনিস্টদের ক্ষেত্রে। চীন ভূ-রাজনৈতিক কারণে এবং সোভিয়েত বিরোধীতার কারণে সে সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। ফলে “চীন”ভক্ত কমিউনিস্টদের জন্য অবস্থাটা ছিল আরো কঠিনÑ শাখের করাতের দশা।

চীনপন্থী কমিউনিস্টরা দাবী করেন যে ১৯৬৭ সালে ই.পি. সি.পি (এম এল)Ñএর প্রথম কংগ্রেসেই তারা স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলার রণনীতি গ্রহণ করেন। কেন আগে ঘোষণা দেওয়ার পরেও তারা শেষ পর্যন্ত জাতীয় কর্তব্যের সংগ্রামে নেতৃত্ব দানে ব্যর্থ হলেন এই প্রশ্নটি তাদের তদানীন্তন অন্যতম নেতা কমরেড হায়দার আকবর খান রনো নিজের কাছেই নিজে করে যে উত্তর প্রদান করেছিলেন সেটা প্রাসঙ্গিক বিধায় এখানে তুলে ধরছিÑ
“আমরা যদি ১৯৭১ বা ১৯৬৯ থেকেও আরো পিছনের দিকে ফিরে যাই তাহলে দেখব, মাওলানা ভাসানীসহ কমিউনিস্ট ও সমাজতান্ত্রিক শক্তিই প্রথম এবং সবচেয়ে জোরের সঙ্গে তুলে ধরেন তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের উপর জাতিগত নিপীড়নের কথা। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে এই নিপীড়ন বিরোধী সংগ্রামের নেতৃত্ব তাঁরা ধরতে পারলেন না। কেন? সংক্ষেপে হলেও এই কেনর উত্তর দেয়া দরকার। আমার মতে, কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
১) কমিউনিস্ট শক্তির বহুধা বিভক্তি।
২) নির্দিষ্ট সময়ে গোটা জাতির প্রশ্নকে হাল্কা করে দেখে অভ্যন্তরীণ শ্রেণী সংগ্রামকে প্রাধান্যে নিয়ে আসা। কমিউনিস্টদের একাংশের মধ্যে এই প্রবণতা ছিল।
৩) কমিউনিস্টদের একাংশের মধ্যে নকশাল রাজনীতির মারাতœক ক্ষতিকর ও আত্মঘাতী প্রভাব।
৪) কমিউনিস্টদের একাংশ (যাঁরা রুশপন্থী বলে পরিচিত ছিলেন) আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব মেনে নিয়ে চলার প্রবণতা এবং স্বাধীনভাবে দাঁড়াবার ব্যাপারে আস্থার অভাব।
৫) চীনপন্থী বলে পরিচিত খণ্ড-বিখণ্ড কমিউনিস্ট দল ও গ্র“পগুলোর একাংশ দেশের অভ্যন্তরে অনেক বীরত্বপূর্ণ সশস্ত্র সংগ্রাম করলেও একাংশ ১৯৭১ সালে প্রধানতঃ চীনের ভূমিকার কারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে তখনকার অবস্থায় প্রধান বা একমাত্র করণীয় হিসাবে দেখেন নি। “দুই কুকুরের কামড়া-কামড়ির” ভ্রান্ত তত্তে¡র কথা অনেকেরই জানা আছে। কিন্তু এখানে উলে­খ্য যে, চীনপন্থী বলে পরিচিত দল বা গ্র“পগুলোর বিরাট অংশ সরাসরি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসী যুদ্ধ করেছে, যা তেমন প্রচারে আসে না।” [হায়দার আকবর খান রনো, “স্বাধীনতা উত্তর তিন দশকের কমিউনিস্ট আন্দোলন একটি পর্যবেক্ষণ”, রাজনীতির কথা প্রসঙ্গে, তরফদার প্রকাশনী, ফেব্র“য়ারি, ২০০৩, পৃ: ১০৮]
সুতরাং দেখা যাচ্ছে চীনপন্থীরা জাতীয় দাবীর সারবত্বা বুঝতে পারেন নি। আর মস্কোপন্থীরা বুঝতে পারলেও সঠিক সময়ে সঠিক শ্লোগানটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরতে পারেন নি।

এ কথা ঠিক যে কমিউনিস্টদের সবসময় বর্তমানের মধ্যে ভবিষ্যতের প্রতিনিধিত্ব করতে হয় বা হবে, কিন্তু বর্তমানে নিছক ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর হলে চলে না বরং বর্তমানের প্রতিই সর্বাধিক মনোযোগ দিয়ে সেখানেই ভবিষ্যতের বীজমন্ত্রকে আবিষ্কার ও তার সর্বোচ্চ পরিচর্যা সাধন করতে হয়। জনগণের নেতৃত্ব দেয়ার অর্থ জনগণের আগে থাকা শুধু নয়, এর একটি আবশ্যকীয় শর্ত হচ্ছে “জনগণের সঙ্গে থাকা” সঠিক নীতি, কৌশল বা শ্লোগান, কখনোই কোন প্রতিভাবান নেতার একক মস্তিষ্ক প্রসুত বিষয় নয়Ñ তা সবসময়ই তৈরী হয় ঐতিহাসিক মুহুর্তে অসংখ্য মানুষের সম্মিলিত ইচ্ছার প্রতিধ্বনি হিসাবে। এই “সম্মিলিত ইচ্ছার” বিষয়টি অনুপস্থিত থাকলে নেতা প্রদত্ত শ্লোগানটি সঠিক হলেও, তা হবে নিছক একটি বিমূর্ত যুক্তির বিষয়Ñ জীবনের বিষয় নয়। নেতার দূরদৃষ্টি হচ্ছে সেইখানে যে তিনি সঠিক ভবিষ্যতকে অগ্রীম অনুধাবনে সক্ষম হয়েছেন এবং কিভাবে সেই বিন্দুতে পৌছাতে হবে তাও তিনি জানেন। ‘লক্ষ্য’ জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ততোধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লক্ষ্যে পৌছানোর পথ-কৌশলটি জানা। বিভিন্ন আগু-পিছু পদক্ষেপের দ্বা›িদ্বক পর্যায়ক্রমটি জানা। সম্ভবত: আমাদের উভয় ক্যাম্পের বামপন্থী নেতাদের ক্ষেত্রেই এই ঘাটতিটি ছিল।
তবে আমি বলার চেষ্টা করবো এ ক্ষেত্রে মোহাম্মদ ফরহাদ অনেক দিক থেকেই অনেকের চেয়ে বেশী কৌশলী ও উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ছিলেন। বিশেষ করে ৮০-এর দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে পার্টিকে শত বাঁধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে, লক্ষ্যে অবিচল থেকে, এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও শক্তিশালী পার্টি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে তার অতুলনীয় অবদান থেকে আমাদের অনেকেরই অনেক কিছু শেখার রয়েছে বলে ধারণা করি। নি:সন্দেহে মোঃ ফরহাদ দেবতা ছিলেন না। তারও ভুল ক্রটি ছিল। কিন্তু একজন সুদূরপ্রসারী এবং তাৎক্ষণিক মূর্ত প্রয়োজন সম্পর্কে একই সঙ্গে সমান মনোযোগী “ষ্ট্র্যাটেজিস্ট” (রণকৌশলবিদ) হিসাবে তার দক্ষতা তিনি প্রমাণ করেছেন স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতিতে। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পার্টির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

লেখকঃ রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ এবং অধ্যাপক অর্থনীতি বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পড়ুনঃ মোঃ ফরহাদ কিভাবে ‘মোঃ ফরহাদ’ হলেন? ১ম পর্ব