চলমান সংবাদ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে হানিফকে হত্যা করা হয়

অপরাধমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত দুটি গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নগরীর খুলশীতে ছুরিকাঘাতে হানিফ হত্যা করা হয়। ঘটনায় নিহত-আহত এবং হত্যাকারীরা সকলেই দুটি পৃথক গ্রুপের সদস্য এবং তারা উভয়ই এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত বলে জানিয়েছে র‌্যাব। হানিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব এসব বিষয় জানায়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আমির হোসেন (৫০) ও তার তিন ছেলে সোহাগ (২৩), সোহেল (২১) ও হাসান (১৯)। র‌্যাব-৭’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার আমির হোসেনের বাড়ি শরীয়তপুরে হলেও তিনি ছোটোবেলা থেকে আমবাগান এলাকায় থাকেন। তিনি ‘আমির ডাকাত’ নামেও পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্রসহ তিনটি মামলা আছে। আমির তার চার ছেলের মধ্যে তিনজনকে ‘কিশোর গ্রুপে’ সম্পৃক্ত করে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করত। তিনি বলেন, নিহত হানিফ এবং তার ভাই আহত অনিকও আলাদা একটি কিশোর গ্রুপের সদস্য। তারা রেলের বিভিন্ন স্থাপনার অবৈধ দখলে রেখেছে। সেগুলো নিয়ে সোহেলদের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব ছিল। আমির আমবাগান এলাকায় স্থানীয় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে আর্থিক পৃষ্টপোষকতা করেছিলেন, যেটা মেনে নিতে পারেনি হানিফ ও অনিক। সেটা নিয়েও তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল। ঘটনার দিন আমির ও তার ছেলে সোহেল দলবল নিয়ে খেলার মাঠে যায়। সেখানে হানিফদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় সোহেল একটি ছোট ছুরি দিয়ে হালিমকে বুকে এবং অনিককে পায়ে আঘাত করে। র‌্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ বলেন, এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর র‌্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। হত্যাকান্ডের পর আসামিরা প্রথমে নগরীর কর্নেলহাট এলাকায় এক স্বজনের বাসায় আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে সোহেল ও হাসান শরীয়তপুরের নরিয়া নড়িয়ায় এক মামার বাড়িতে এবং বাকি দুজন ঢাকার কেরানীগঞ্জে আশ্রয় নেন। শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম সোহেল ও হাসানকে শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের বাবা ও আরেক ভাই সোহাগকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। মূলত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হানিফকে খেলার মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে আসামীরা এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করে। প্রসঙ্গত গত ৮ নভেম্বর বিকেলে খুলশী থানার আমবাগান শহীদ মিনার সংলগ্ন তরুণ সংঘের মাঠে ছুরিকাঘাতে খুন হয় মো. হানিফ। এসময় তার ভাই মো. অনিককেও ছুরিকাঘাতে আহত হয়। এ ঘটনায় তাদের বড় ভাই মো. জয়নাল বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে খুলশী থানায়। হত্যাকান্ডের পরপর পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
# ১৪.১১.২০২১ চট্টগ্রাম #