চলমান সংবাদ

দুদক’র মামলায় পুলিশের এসআই কারাগারে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক’র করা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নওয়াব আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন নওয়াব আলী। সর্বশেষ ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কর্মরত ছিলেন। দুদকের মামলার পর তাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে এসআই নওয়াব আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর দুদক’র উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর মামলা করেন। মামলায় তার স্ত্রী গোলজার বেগমকেও আসামি করা হয়। ওই মামলায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামি করে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। নওয়াব আলী দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন স্ত্রী গোলজার বেগমকে। মাছচাষ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা আয় করেন বলে কাগজপত্রে দেখালেও বাস্তবে মাছচাষের অস্তিত্ব পায়নি দুদক। নওয়াব আলী তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির ওপর একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন নিজের নামে। স্ত্রী গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে উপজেলার সলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ ১ হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমি রয়েছে। গোলজারের নামে একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে। দুদকে জমা দেওয়া হিসাব বিবরণীতে গোলজার দাবি করেন, তিনি মিরসরাইয়ের পশ্চিম ইছাখালীর মদ্দারহাটে হারেস আহমদ, আমিনুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, শওকত আকবরসহ সাতজনের সঙ্গে চুক্তি করে একটি জলমহাল ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেছেন। কিন্তু তদন্তে উঠে আসে, হারেস আহমদসহ যেসব ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি দেখানো হয়েছে, তাঁরা ২০ বছর আগে মারা গেছেন। চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এসআই নওয়াব আলী এবং তার স্ত্রীসহ চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। দুর্নীতির মামলায় নওয়াব আলী আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এই মামলায় আগামী ৬ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ মার্চ একই মামলায় নওয়াব আলীর স্ত্রী গোলজার বেগমকে কারাগারে পাঠায় আদালত। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
# ১০.১১.২০২১ চট্টগ্রাম #