চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে নারী ও দুই শিশু সন্তানের মৃত্যু, স্বামী গ্রেপ্তার

নগরীতে এক নারী ও তার দুই শিশু সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। মৃত সুমিতা খাতুনের স্বামী সোহেল রানার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় শুক্রবার রাত ১টার দিকে মামলা হয়। সুমিতার ফুপা শামসুল ইসলাম আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলাটি করেন। ওই মামলায় পুলিশের হেফাজতে থাকা সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে গত শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশের মোহাম্মদপুর এলাকার একটি ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে সুমিতা, তার সাত বছরের মেয়ে জান্নাত মুন ও আড়াই বছরের ছেলে শানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের পরই সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তিনি পুলিশের হেফাজতেই ছিলেন। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, টাকা-পয়সা বিষয়ক কিছু ব্যাপার নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। এই কলহ থেকেই সন্তান নিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন সুমিতা।’ পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহেদুল কবির জানান, ভোর ৫টার দিকে খবর আসে ওই ফ্ল্যাটের দরজা সারারাত ভেতর থেকে বন্ধ। গৃহকর্তা সোহেল রানা ঘরে ঢুকতে পারেননি রাতভর। সন্দেহ হওয়ায় তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। ভোরে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে মরদেহগুলো দেখতে পায় পুলিশ। এর মধ্যে সুমিতা ও শিশু শানের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বিছানায় পড়ে ছিল জান্নাতের নিথর দেহ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নাঈমা সুলতানা ঘটনার দিন বলেন, ‘ধারণা করছি, শ্বাসরোধে প্রথমে ছেলেকে হত্যা করা হয়। তারপর মেয়েকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেন মা।’ # ১৬.১০.২০২১ চট্টগ্রাম #