চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে মহাসমারোহে উদযাপিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব জেলার ২২৪০টি পূজামন্ডপে দেবীকে বরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন

সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আগামীকাল সোমবার থেকে। করোনা সংক্রমণের হার অনেকটা কমে আসায় চট্টগ্রামে এবার মহাসমারোহে উদযাপিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। এটি শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, সকল ধর্মের মানুষ এ উৎসব পালন করে। আর তাই পূজামন্ডপগুলোতে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল। চট্টগ্রামের বিভিন্ন পূজা মন্ডপে দেবীকে বরণের প্রস্তুতি শেষ করেছেন আয়োজকরা। নগরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপে গতকাল রবিবার পুরোরাত চলেছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা। সোমবার (১১ অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা বসানো হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখেই চলছে মন্ডপের কাজ। এ বছর চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন ১৫ উপজেলায় সর্বজনীন ১ হাজার ৫৫৩টি এবং পারিবারিক ৪১১টি মন্ডপসহ মোট ১ হাজার ৯৬৪টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান পূজামন্ডপ জেএম সেন হল প্রাঙ্গণসহ ১৬টি থানায় ব্যক্তিগত, ঘটপূজাসহ ২৭৬টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ কুমার ভট্টাচার্য। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থা ও প্রশাসনের দফায় দফায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে গত বছরের মতো এবারও উৎসব পরিহার করে মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতায় হবে দুর্গাপূজা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা আয়োজনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির সঙ্গে পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া সকল উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জরা পৃথক সভায় পূজামন্ডপের নিরাপত্তা ও সার্বিক বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছেন। রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলার সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পূজায় ডিজে পরিহার করা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান-বাজনা, মেলা, নাটক, সমাবেশ, আরতি প্রতিযোগিতা ও শোভাযাত্রা পরিহার করা, পূজামন্ডপে আগত সবার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, মন্ডপে প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান-পানি রাখা, মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা প্রবেশ ও প্রস্থানের ব্যবস্থা রাখা, আতশবাজি বা পটকা ফুটানো পরিহার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পূজামন্ডপে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের জন্য খোলামেলা রাখা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্যও বলা হয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন না করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশের সকল উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে ১টি মডেল মন্দির নির্মাণ করার আবেদন জানানো হয়।
# ১০.১০.২০২১ চট্টগ্রাম #