চলমান সংবাদ

চকবাজার ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে মাত্র ৭৮৯ ভোট পেয়ে ৩২ হাজার ৪২ ভোটারের কাউন্সিলর হলেন টিনু

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন পুলিশের তালিতাভুক্ত সন্ত্রাসী কারাবন্দি নূর মোস্তফা টিনু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত টিনু সন্ত্রাস, চাঁদাবাজের মামলায় অস্থসহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। টিনু নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবদুর রউফও কিশোরগ্যাং লিডার ও চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম জানান, উপ-নির্বাচনে প্রত্যেক কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হচ্ছে। কোনো রকম ঝামেলা হয়নি। নির্বচানে মোট ভোট গ্রহণ হয়েছে ৬৯৩২টি। শতকরা হারে যা ২১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ৭৮৯ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন নূর মোস্তাফা টিনু(মিষ্টি কুমড়া)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আব্দুর রউফ (ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট) পেয়েছেন ৭৭৬ ভোট। প্রসঙ্গত চকবাজার ওয়ার্ডে সাত বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর প্রবীণ রাজনীতিবিদ সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় এখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে কাউন্সিলর হতে মোট ২১জন প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগ ঘরানার। একটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এত প্রার্থী এর আগে দেখা যায়নি। অপরদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন একজন। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ইভিএমের মাধ্যমে ১৫টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। নির্বাচন উপলক্ষে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া মাঠে নজরদারিতে ছিলেন ৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এতে ১৩ ভোটের ব্যবধানে কাউন্সিলর হওয়া টিনুর বিরুদ্ধে চকবাজার ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। গত ২০ জুন অস্ত্র মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় চট্টগ্রামের একটি আদালত। এর আগে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নূর মোস্তফাকে র‌্যাব চকবাজার এলাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি শটগান ও ৭২টি গুলি উদ্ধার করা হয় তখন। এই ঘটনায় র‌্যাব পাঁচলাইশ থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মামলাটির অভিযোগপত্রেও নূর মোস্তফাকে অভিযুক্ত করা হয়। চকবাজার ওয়ার্ডে ১৫ কেন্দ্রের ৮৬ বুথে ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়। চকবাজার ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫ জন।
# ০৭.১০.২০২১ চট্টগ্রাম #