চলমান সংবাদ

শহীদ মিনার সংস্কার ও বিন্যাস ৯ মাসে শেষ করতে হবে: মেয়র রেজাউল

মূল নকশা ও অবয়ব অনুযায়ী চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কার, বিন্যাস, সম্প্রসারণ ও গুরুত্ব বর্ধিতকরণে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা নিরসন নিশ্চিত করে ৯ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলেছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। বর্তমান জায়গায় বাঙালির আবেগ অনুভূতি ও ঐতিহ্যের স্মারক এ স্থাপনাটির যাতে পূর্ণাঙ্গ অবয়ব দৃশ্যমান হয় সে ব্যাপারে উদ্যোগী হতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে কোনো কালক্ষেপণ না করে এখন থেকেই কাজ শুরুর নির্দেশনা দেন তিনি। মেয়র বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সংস্কারকাজ চলাকালীন ২১শে ফেব্রুয়ারিসহ অন্যান্য জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালন যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য চসিক পরিচালিত মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি বিকল্প স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারীকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি এ স্থাপনা নির্মাণের কাজ আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শুরু করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার পর বিকল্প শহীদ মিনার স্থাপনাটিও থেকে যাবে এবং সেইভাবেই এর স্থায়ী রূপ দেওয়া হবে। রোববার (৩ অক্টোবর) সকালে শহীদ মিনার সংলগ্ন মুসলিম ইনস্টিটিউট হল চত্ত্বরে নির্মাণাধীন চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক বলয় কেন্দ্রে তার আহ্বানে সংস্কৃতিকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক বলয় প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পের পথে যখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রসঙ্গটি আসে তখন থেকেই মনস্থির করেছিলাম সবার সঙ্গে বসে মতামত নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আমি শহীদ মিনারের সংস্কার চাই, মূল নকশানুযায়ী বিন্যাস ও সম্প্রসারণ চাই। তবে এটা ভাঙা বা সরিয়ে ফেলতে মন সায় দেয়নি এবং দেবেও না। বাস্তবায়নাধীন সাংস্কৃতিক বলয় প্রকল্প চট্টগ্রামের সংস্কৃতিকর্মীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়ার স্বপ্ন। এ স্বপ্নের শতভাগ পূরণ হলে চট্টগ্রামের শিল্প-সংস্কৃতির চাকা গতিশীল হবে। এ প্রকল্প একটি বহুমাত্রিক নন্দিত স্থাপনাই হবে না, এর সঙ্গে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানান তথ্য-উপাত্ত, উপাদান, নিদর্শন এবং নানান প্রামাণ্য শিল্পিত উপস্থাপনার সংযোজন হবে। তিনি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীদের বাস্তবায়নাধীন বলয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সংযোজন ও প্রস্তাবনার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা, চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের নানামুখী ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন, সংরক্ষণ ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের কীর্তিগাথা ধারণ ও স্মরণের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের সহযোগিতা চাই। স্বাগত বক্তব্য দেন গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী। মতবিনিময় করেন মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সচিব অভীক ওসমান, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, চসিক সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আহমেদ সাকী, চবি সিনেট সদস্য মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, আব্দুল হালিম দোভাষ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, নগর মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মো. শহীদুল হক চৌধুরী, নাট্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সঞ্জীব বড়ুয়া, গ্রুপ থিয়েটার সমন্বয় পরিষদের শেখ শওকত ইকবাল, শহীদ পরিবারের প্রদীপ বড়ুয়া, জাসদ কেন্দ্রীয় নেতা ইন্দু নন্দন দত্ত, নুরুল আলম মন্টু, জাসদ মহানগর নেতা জসিম উদ্দিন বাবুল, সিপিবি নেতা অশোক সাহা, গণতন্ত্র পার্টির তাজুর মুল্লুক, ন্যাপের মিঠুন দাশগুপ্ত, দীপেন চৌধুরী, ছড়াকার মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের রাশেদ হাসান, ২২ মহল্লা সর্দার কমিটির মো. ইউসুফ সর্দার, প্রকৌশলী মো. হারুণ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির শীলা দাশ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, শিল্পী কল্পনা লালা, শ্রমিক লীগ নেতা বখতেয়ার উদ্দিন খান, বোধন আবৃত্তি পরিষদের প্রণব চৌধুরী, রাজনীতিক বেলায়েত হোসেন, মাহবুর রহমান মাহফুজ, মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকর্মী সজল দাশ প্রমুখ।

# ০৩.১০.২০২১ চট্টগ্রাম #