মতামত

নারী নির্যাতন : আমাদের সংস্কৃতি ও নারী-মুক্তি (শেষ পর্ব)

– মোঃ জানে আলম

আমরা সকলে জানি, একটি স্রোতহীন মৃত নদী কিংবা বদ্ধ জলাশয়ে যেমন অসংখ্য শেওলা-আগাছা জন্ম নেয়, ঠিক তেমনি একটি পশ্চাৎপদ সমাজে মানুষের মধ্যে নানা প্রকার অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার, ধর্ম কিংবা বর্ণ ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা, কূপমণ্ডুকতা, পরমত অসহিষ্ণুতা, পরিণামে মৌলবাদ-জঙ্গীবাদ ইত্যাদি জন্ম নিতে থাকে। আমরা সকলে জানি, কিংবা কোন কোন বিশ্ব সংস্থা ফি বছর আমাদের জানান দেন যে, আমরা পৃথীবির দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে ১ম, ২য় না ৩য় স্থান দখল করে আছি। একদিকে সম্পদ নেই বলে আমরা গরীব, অন্যদিকে বিত্তহীন এ সমাজও নিদারুণ ভাবে বৈষম্যময়। এখানে ধনী দরিদ্রের ব্যবধান সীমাহীন। কোন সমাজে যদি বৈষম্য বিদ্যমান থাকে এবং সেখানে যদি অবিচার, জুলুম, লুটপাট অব্যাহত থাকে, তাহলে এ কথা বলাই বাহুল্য যে, সর্বাধিক দুর্বল জনগোষ্ঠীই হবে এর সর্বাধিক শিকার। আমাদের সমাজে নারী এখনো পিতা-স্বামী-পুত্রের উপর চুড়ান্তভাবে নির্ভরশীল। তাই তাদের সিংহভাগ একবার শোষিত-নির্যাতিত হচ্ছে শ্রেণীগত ভাবে, আবার হচ্ছে লিঙ্গ বৈষম্যের ভিত্তিতে । লিঙ্গ ভিত্তিক শোষণ থেকে ধনাঢ্য পরিবারের নারীরাও কিন্তু মুক্তি পাচ্ছে না। শ্রেণীগত শোষণের কারণ আর্থ-সামাজিক, যা নির্ভর করে একটি শ্রেণী বিভক্ত সমাজের উপর, আবার লিঙ্গভিত্তিক শোষণ-নির্যাতনের কারণ সামাজিক সাংস্কৃতিক, যার মূলে রয়েছে আমাদের চিন্তা চেতনা মূল্যবোধের দৈন্যতা। আমরা শুরুতেই উল্লেখ করেছি যে, আমাদের এ দৈন্যতা কিন্তু আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।

ধর্ম এখনো আমাদের সংস্কৃতিতে একটি নির্ধারক প্রভাবক হিসাবে বিরাজমান। বিশেষভাবে লোকজ সংস্কৃতিতে ধর্মের প্রভাব সর্বগ্রাসী। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃস্টান সব ধর্মের লোকদের ব্যাপরে এ বক্তব্য সমানভাবে প্রযোজ্য এবং এটা আমাদের সুদীর্ঘ দিনের পারিবারিক ও সামাজিক ঐতিহ্য। আমরা দেখি আমাদের পরিবারগুলোতে একটি শিশুর জন্মের সাথে সাথে সদ্যজাত শিশুটির সামনেই সজোরে বারংবার সজোরে উচ্চারিত হতে থাকে নানা ধর্মীয় বাণী-দোয়া-দুরুদ-মন্ত্র পাঠ। পরম আত্মীয়দের তৈরী নানা জামা কাপড়ের মত বিশ্বাস-চিন্তা-চেতনা-মূল্যবোধের অদৃশ্য এক তকমাও সদ্যজাতকের জন্য তৈরী হয়ে থাকেÑ জন্মের সাথে সাথে যা তার শরীরে এঁটে দেওয়া হয়। চিন্তা-চেতনা-মূল্যবোধের সে তকমায় আবৃত থেকে সে কালক্রমে বেড়ে ওঠতে থাকে। সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া দু:সাধ্য ব্যাপার। বরং কালক্রমে তার চিন্তা-চেতনা-মূল্যবোধের সাথে তা মিশে একাকার হয়ে যায়। নারী সম্পর্কে বিশেষ যে দৃষ্টিভঙ্গী আমরা পোষণ করি, তার প্রাথমিক উৎস কিন্তু আমাদের ধর্ম। আমাদের ধর্মে নারী সম্পর্কে যে দৃষ্টিভঙ্গী তা বুঝার জন্য আমি ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন এর কিছু আয়াত এখানে উদ্ধৃত করছিÑ
“আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতিম মেয়েদের হক যথাযথ ভাবে পূরণ করতে পারবে না তবে সে সব মেয়েদের মধ্য থেকে যাদের ভাল লাগে বিয়ে করে নাও দুই, তিন কিংবা চারটি পর্যন্ত। তবে যদি আশঙ্কা হয় যে, তাদের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে পারবে না তবে শুধুমাত্র একটি।” আল কোরান; সূরা আন্-নিসা (৪:৩)
“ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। যা সাধারণত প্রকাশমান তা ছাড়া তারা যেন সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, তারা যেন মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে। তারা যেন স্বামী, পিতা, শশ—র, পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌণ কামনামুক্ত পুরুষ, বা বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারও কাছে সৌন্দর্য্য প্রকাশ না করে। গোপন সোন্দর্য্য প্রকাশের জন্য তারা যেন জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগন, তোমরা আল্লাহের সামনে তওবা কর যেন সফলকাম হতে পার।” সূরা আন-নূর(২৪ : ৩১)
“তোমাদের স্ত্রীরা হল তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। তোমরা যে ভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।” সূরা আল বাক্বারা (২:২২৩)
“আর নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ পরাক্রমশীল ও বিজ্ঞ।” সূরা আল বাক্বারা(২:২২৮)
“ পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেক্কার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগত এবং অল্লাহ্ যা হেফাজতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালে তার হেফাজত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও. তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হযে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপরে শ্রেষ্ঠ।” সূরা আন্ নিসা( (৪:৩৪)
“ সকল সধবা নারী তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে, কিন্ত তোমাদের স্বত্বাধীন যেসব দাসী রয়েছে তাদের হারাম করা হয়নি।” সূরা আন্ নিসা(৪:২৪)
“ দুজন স্বাক্ষী কর তোমাদের পুরুষদের মধ্য থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা”। সূরা আল বাক্বারা (২: ২৮২)
উপরোক্ত আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা বা তফশির মুসলিম ধর্মবেত্তারা কিংবা ডাক্তার জাকির নায়েকদের মত ইসলামী বিশেষজ্ঞরা যে ভাবেই করুক না কেন, তাতে ইসলাম ধর্মে নারীর অবস্থান যে পুরুষের চেয়ে অধস্তন, সেটা কি অস্বীকার করার কোন অবকাশ আছে ? অথচ প্রত্যেক ধর্মবিশ্বাসী মুসলমানের কাছে উপরোক্ত বাণী গুলো আল্লাহের অমোঘ বিধান হিসাবে বিশ্বাসযোগ্য এবং তা তারা পালন করার সর্বোত চেষ্টা করে।
নারীর প্রতি ইসলামে চরম বৈষম্য ধরা পড়ে মৌরসী সম্পত্তির উত্তরাধিকারের প্রশ্নে।
যেমন-“ একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর সমান।”
সূরা আন নিসা ( ৪:১১)

আসুন এবার সনাতন হিন্দু ধর্মে নারীর জন্য কী বিধান রাখা হয়েছে। হিন্দু ধর্মে “পতি পরম গুরু”, “পতি সেবা সতী ধর্ম” ইত্যাদি শ্লোক হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনপ্রাণ দিয়ে মেনে চলে। কারণ মনুর বিধানে আছে (৯:৩)Ñপিতা রক্ষতি কৌমারে ভর্ত্তা রক্ষতি যৌবনে। রক্ষতি স্থবিরে পুত্রা না স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমহতি।। অর্থাৎ নারীকে পিতা রক্ষা করবে কুমারীকালে, স্বামী রক্ষা করবে যৌবনে । বার্ধক্যে রক্ষা করবে পুত্ররা। স্ত্রী স্বাধীনতার যোগ্য নয়।।
মনুসংহিতা(২:৬৭) বৈবাহিকো বিধিঃ স্ত্রীণাং সংস্কারো বৈদকঃ স্মৃতঃ পতিসেবা গুরৌবাসো গৃহার্থোহান্নি পরিক্রিয়া।।
অর্থাৎ বিয়েই নারীর বৈদিক উপনয়ন, পতিসেবাই গুরুগৃহবাস, গৃহকর্মই গোমস্বরূপ অগ্নিপরিচর্যা।।
মনু আরো বলেছেন (৫ঃ১৫৪) পতি সদাচারহীণ, পরস্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কযুক্ত বা গুণহীন হলেও সতী স্ত্রী সেই পতিকে দেবতার মতই পুজা করবে।
(৫ঃ১৫৫) স্ত্রীর স্বামী ছাড়া পৃথক যজ্ঞ নেই, পতির অনুমতি ছাড়া ব্রত বা উপবাস নেই। নারী স্বর্গে যেতে পারে কেবল মাত্র স্বামী সেবার সাহায্যেই। এ জাতীয় নারীর জন্য অবমাননাকর আরো অনেক উদ্বৃতি দেওয়া যাবে।
মনুসংহিতার এ সকল বিধান এখনো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী সর্বান্তকরণে মেনে চলে। মৃত স্বামীর সাথে হিন্দু বিধবার সহমরণ তো বন্ধ হয়েছে রাজা রামমোহন রায় সহ কিছু সমাজসংস্কারকদের তীব্র আন্দোলন ও তৎপ্রেক্ষিতে বৃটিশ রাজের আইনী বিধানের ফলে। তবে এখনো সহমরণকে পরম ধর্ম জ্ঞান করে বিশাল ভারতের কোন কোন রাজ্যে সরকারের অগোচরে সহমরণের ঘটনার সংবাদ পত্রিকান্তরে জানতে পাওয়া যায়।

এ হল আমাদের উপমহাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠী মুসলিম ও হিন্দু ধর্মে নারী সম্পর্কে বিধি বিধান। এ সকল ধর্মীয় বিশ্বাস এর পেছনে কী যুক্তি আছে কিংবা কোন আধুনিক যুক্তিবাদী মানুষ কী নারী সর্ম্পকে এ জাতীয় বিধি-বিধান মেনে নিতে পারেন? রাষ্ট্র ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করবে আবার নারী মুক্তির কথা বলবে একি প্রতারণা নয়?
কিন্তু দেশের লোকজ সংস্কৃতিতে ধর্মীয় এসব মূল্যবোধের শিকড় এত গভীরে যে, সাধারণ মানুষÑশিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে প্রশ্নাতীত ভাবে এ সকল বিধিবিধানকে বিশ্বাস করে। তাদের এ বিশ্বাস ভাঙ্গতে হলে তাদের মধ্যে এসব অন্ধ বিশ্বাসের বিপরীতে যুক্তিবোধের উম্মেষ ঘটাতে হবে, যা করতে পারে একটি শিকড়-নাড়া সাংস্কৃতিক বিপ্লব।

কাক্ষিত সাংস্কৃতিক বিপ্লবের রূপরেখা: রণনীতি রণকৌশল

আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, নারী নির্যাতন আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আমাদের আর্থ-সামাজিক পশ্চাৎপদতার সাথে ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধ এক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা প্রণিধানযোগ্য ভূমিকা রাখছে। আমাদের এ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মধ্যযুগীয়ও পশ্চাৎপদ হলেও মানুষের আজন্ম-লালিত এসব চেতনা ও মূল্যবোধ এর শিকড় এত গভীরে যে, অনেক শিক্ষিত মানুষও তাকে পরিত্যাগ করতে পারে না। আমরা পূর্বেও আলোচনা করেছে যে, বিজ্ঞানের এ চরম উৎকর্ষতার যুগেও পৃথিবীর সর্বাংশে আর্থ-সামাজিক বিকাশ সমভাবে ঘটেনি। একইভাবে বিজ্ঞান ও জ্ঞানের বিকাশেও আছে মাত্রাগত তারতম্য। আমাদের সমাজে বিদ্যমান চেতনা ও মূল্যবোধকেÑতা যত পশ্বাৎপদ হউক না কেনÑএক ধাক্কায় গুড়িয়ে দেওয়া যাবে না। আজন্ম লালিত বিশ্বাস থেকে বের হয়ে আসা মানুষের জন্য সাধারণত: দু:সাধ্য ব্যাপার। বরং তাতে হিতে বিপরীত হবে। প্রতিক্রিয়ায় নতুন করে চাঙ্গা হবে ধর্মীয় বিশ্বাস। আবার সমাজের প্রতিটি মানুষকে বৈজ্ঞানিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ বা সচেতন করে আমরা উন্নয়ন অগ্রগতির পথে এগুবো সে ধারণাও অবাস্তব। তাহলে কী ভাবে এগুনো যাবে?

এটাই হল মূল প্রশ্ন। এখানে কৌশল হতে পারে পশ্চাৎপদ ধারণা বা মূল্যবোধের বিপরীতে আধুনিক মূল্যবোধ ও চেতনাকে ‘সহনীয় মাত্রায়’ উপস্থাপন করে পশ্চাৎপদ ধ্যান-ধারণার য়ুক্তিহীনতা তুলে ধরা। বিজ্ঞানে এমন কিছু সত্য আছে, যার সাথে ধর্মীয় বিশ্বাসের সংঘাত প্রত্যক্ষ নহে। যুক্তি-তর্ক ও কাযর্-কারণ বাখ্যা করে আমাদের সে সকল সত্য তুলে ধরতে হবে । এ ভাবে আমজনগণকে প্রস্তুত করে ধীরে ধীরে বৈজ্ঞানিক চেতনার প্রতি আসক্ত বা বিশ্বাসী করে তুললে অবচেতন মনেই সে গ্রহণ করতে থাকবে যুক্তিপূর্ণ সত্যকে। তখন আজন্ম লালিত বিশ্বাস ভেঙ্গে গেল বলে তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়বে না। এ পদ্ধতিটাকে আমি বলছি, “সত্য ও যুক্তি প্রকাশের সহনীয় মাত্রা”। আধুনিক ধর্মবেত্তারা ধর্মীয় বিশ্বাসকে টিকিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা হিসাবে যতই বিজ্ঞানের আলোকে ধর্মকে ব্যাখ্যা করার প্রয়াস পাক না কেন, আমাদের কেবল বৈজ্ঞানিক সত্যটাকে আমজনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে যুক্তি-তর্ক ও কার্য-কারণ ব্যাখার মাধ্যমে। ধর্মের বিরুদ্ধে সরাসরি কোন মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই। অন্তঃস্থ অসারতার কারণে তা আপনি-আচরি মরে যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের অবিচল থাকতে হবে আমাদের।

রণনীতিতে অর্থাৎ আমজনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে তাকে যু্ক্তিবাদী করা। এভাবে আমজনগণকে বিজ্ঞানমনস্ক করার একটি সচেতন প্রয়াস চালাতে হবে বিরামহীন ভাবে। তখন এমন একদিন আসবে, যখন বিজ্ঞানের সাথে ধর্ম, যুক্তির সাথে বিশ্বাসের এবং কার্যকারণের সাথে অলৌকিকত্ব নিয়ে বিতর্ক অসার হয়ে পড়বে। প্রশ্ন হল কে বা কারা এ প্রয়াস চালাবে? সচেতন নাগরিক সমাজ, যারা নারী মুক্তির আন্দোলন করছে সে সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এ দায়িত্ব নিতে হবে। একাত্তুরের মুক্তিযোদ্ধাদের মত এখন আমাদের বড় প্রযোজন একদল সাংস্কৃতিক যোদ্ধার।

– সমাপ্ত –

পড়ুন নারী নির্যাতনঃ আমাদের সমাজ ও নারী মুক্তি ১ম পর্ব

লেখক, শ্রমিকনেতা ও রাজনীতিবিদ