চলমান সংবাদ

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামে ভারি বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানির উচ্চতার কারণে নগরের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে

 বুধবার (২৮ জুলাই) বিকেলে নগরের হালিশহর, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর ২ নম্বর গেট এলাকার কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পরিমাণ পানিতে তলিয়ে যায়। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে আজ (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ও আবহাওয়াবিদ ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চালনশীল (বজ্রমেঘ) মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চট্টগ্রামে আগামীকালও (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানির উচ্চতার কারণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।’ এছাড়াও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ভারি বৃষ্টিপাতে নগরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। রিকশা ছাড়া বলতে গেলে প্লাবিত এলাকায় যাতায়াত করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর এ সুযোগে রিকশাচালকরাও বেশি ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন অনেকে। এছাড়াও আজ (বুধবার) বেলা ১১টায় আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

# ২৮।০৭।২০২১ চট্টগ্রাম #