চলমান সংবাদ

মালিক এবং সরকারী দপ্তর সমূহের অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারনে দেশের সকল কর্মস্থান আজ  কবরস্থানে পরিনত হয়েছে -স্কপ

স্কপের মানব্বন্ধনে বক্তব্য রাখছেন চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক তপন দত্ত

গত ৮ জুন বৃহস্পতিবার নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে অবস্থিত সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫২জন শ্রমিক নিহত হওয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে আজ ১২ জুলাই সোমবার বিকাল বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি শ্রমিকনেতা মুহাম্মদ শফর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্কপের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক ও টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি তপন দত্ত, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মো মামুন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের মো আবু আহমেদ, বাংলাদেশ ফ্রী ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক হুনী, টিউসির ইফতেখার কামাল খান, পরিবহন শ্রমিক নেতা উজ্জ্বল বিশ্বাস, জাহাংগীর আলম, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন চৌধুরী, শফিকুর রহমান মজুমদার, রবিউল হক শিমুল প্রমুখ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে কারখানাসমূহ পরিচালনায় শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তার জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুযায়ী নীতিমালা সমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ না হওয়ায় শ্রমজীবী মানুষকগুলো বারবার কাজ করতে গিয়ে অনাকাংখিত ও মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হচ্ছে। অকালে ঝরে পড়ছে বহু শ্রমিকের জীবন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বহু শ্রমিক পরিবার সর্বশান্ত হয়েছে।

শ্রমিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে মালিক পক্ষের অবহেলা এবং সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকল দপ্তরের সীমাহীন নির্লিপ্ততা, অযোগ্যতা, ব্যর্থতা ও দুর্নীতীপরায়নতার কারনে সকল কর্মস্থান আজ কবরস্থানে পরিনত হয়েছে। তারা এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধকল্পে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করে প্রত্যেকের শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন নিহত ও আহতদের তালিকা করে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে লস অফ ইয়ার আর্নিংস নির্নয় করে নিহতদের আজীবন আয়ের সমপরিমান ক্ষতিপূরণ তথা প্রত্যেক শ্রমিককে কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা  এবং আহতদের সাফারিংস ও পেইনস নির্নয় সে মোতাবেক সুচিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

# ১২ জুলাই ২০২১, প্রেস বিজ্ঞপ্তি #