চলমান সংবাদ

রপ্তানিপণ্য জাহাজিকরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টাস্কফোর্স গঠন করেছে মন্ত্রণালয়

চট্টগ্রাম বন্দরের রপ্তানিপণ্য জাহাজিকরণ কার্যক্রমকে গতিশীল করা এবং জাহাজ থেকে পণ্য এবং কন্টেইনার আনলোডিং, আমদানিকারক বরাবর ডেলিভারিসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সুলতান আবদুল হামিদকে প্রধান করে গঠিত এই টাস্কফোর্স চট্টগ্রাম বন্দরের ভবিষ্যত চাহিদা মোকাবিলা ও কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। গঠিত এই টাস্কফোর্স কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশন (বাফা), বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো এসোসিয়েশন (বিকডা)সহ সংশ্লিষ্টদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। টাস্কফোর্স গঠন নিয়ে ৭ জুলাই বুধবার ‘চট্টগ্রাম বন্দরে রফতানিপণ্য জাহাজিকরণ’ বিষয়ে একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভার্চুয়াল সভায় টাস্কফোর্সে অন্তর্ভূক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। ভার্চুয়াল সভার সভাপতিত্বকারী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে খালি কন্টেইনারে অ্যাভেইঅ্যাভল হচ্ছে না এবং জাহাজের সংকট আছে। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানি পণ্যের জট লেগে গেছে। সভায় সেই বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। বর্তমানে রপ্তানি ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা আছে কি-না? কিংবা আগামীতে আমরা কি কি চ্যালেঞ্জে পড়তে পারি। আলোচনায় সবাই একমত হয়েছে যে, পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজিকরণের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। তবে ভবিষ্যতের সমস্যা মোকাবিলার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সুলতান আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে রফতানিপণ্য জাহাজিকরণে বড় ধরনের কোন সমস্যা নেই। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে জাহাজ এবং খালি কন্টেইনারের সংকট নেই। গত ১৫ দিনে বাংলাদেশ থেকে ২৬টি জাহাজ ছেড়ে গেছে। সেগুলোর ক্যাপাসিটি ছিল ৩৮ হাজার টিইইউএস (বিশ ফুটের কন্টেইনার) কিন্তু জাহাজগুলো পণ্য পরিবহন করেছে ২৭ হাজার টিইইউএস। অর্থাৎ ১১ হাজার টিইইউএস স্পেস অব্যবহৃত থেকেছে। চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘন্টা চালু রয়েছে। নিয়মিত ভাবেই জাহাজ থেকে পণ্য এবং কন্টেইনার আনলোডিং, আমদানিকারক বরাবর ডেলিভারি এবং রফতানি কন্টেইনার জাহাজে বোঝাইসহ যাবতীয় কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলমান রয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ২৩৬ টিইইউএস কন্টেইনার, ১১ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৩ মেট্রিক টন কার্গো এবং ৪ হাজার ৬২টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩০ লাখ ৪ হাজার ১৪২ টিইইউএস কন্টেইনার, ১০ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ মেট্রিক টন কার্গো এবং ৩ হাজার ৭৬৪টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করেছে। ভার্চুয়াল সভায় কাস্টমসের সদস্য (পলিসি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুজ্জামান, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, মংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালালউদ্দিন এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সাব্বির মাহমুদ, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র সহসভাপতি মো. হাতেমসহ সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন।

# ০৭.০৭.২০২১ চট্টগ্রাম#