চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার ৩৪ শতাংশ বাড়ছে সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যু

সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সময় যত যাচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন ল্যাবে এক হাজার ২৩২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার। করোনা পরীক্ষায় প্রতি তিনজনে একজন আক্রান্ত হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ মাস্ক পরতে উদাসীন। স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবনতা কমে যাওয়ায় করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। বর্তমানে নগরের পাশাপাশি উপজেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। একই সঙ্গে হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর চাপ। শুক্রবার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা শনাক্তের হার হচ্ছে ৩৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। একইদিনে করোনায় মারা গেছেন আরো চারজন। যার মধ্যে নগরে ও উপজেলায় দুইজন করে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১০ জনে। আক্রান্ত ৪২১ জনের মধ্যে ২৮৪ জন নগরের ও ১৩৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৭৩৭ জনে। এদিকে আগের দিন গত বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে জানা যায়, চট্টগ্রামে ২ হাজার ৬২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ৫৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। চট্টগ্রামে আগে কখনো এক দিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ২৭ শতাংশ। এদিন চট্টগ্রামে করোনায় পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। গত বুধবার চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩৬৪ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ৩৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ২৯ শতাংশ। সেদিন চট্টগ্রামে করোনায় ১০ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, নতুন শনাক্তসহ জেলায় মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৯ হাজার ৭৩৭ জন। ৪৬ হাজার ৫৪৭ জন নগরীর ও ১৩ হাজার ১৯০ জন ১৫টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত মোট ৭১০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭৯ জন চট্টগ্রাম মহানগরের ও ২৩১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি বলেন, গত বছরের মার্চ মাসে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় এটি একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। গত ২৪ ঘণ্টার পরীক্ষা বিবেচনায় প্রতি তিনজনে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। শহরের রাস্তায় মানুষ না থাকলেও অলিগলিতে ঠিকই আড্ডা দিচ্ছে। ফলে যে উদ্দেশ্যে লকডাউন দেওয়া হয়েছে, সেটি শতভাগ কার্যকর হচ্ছে না। প্রশাসনের উচিত অলিগলিতেও নজরদারি বাড়ানো। তাহলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

# ০২.০৭.২০২১ চট্টগ্রাম #