চলমান সংবাদ

দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২৮টি অজগর ছানার জন্ম

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দেশে দ্বিতীয়বারের মতো কৃত্রিম উপায়ে ২৮টি অজগর সাপের বাচ্চার ফোটানো হয়েছে। এরআগে গত ২০১৯ সালের ১৩ জুন ২৬টি বাচ্চা ফোটানোর মধ্য দিয়ে দেশে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, চিড়িয়াখানায় সাপের খাঁচায় মোট ২২টি অজগর আছে। গত ১৪ এপ্রিল ৩১টি ডিম পাড়লে তা সংগ্রহ করে হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ৬৭ দিন ধরে বিভিন্ন তাপমাত্রায় রাখা হয়। এরমধ্যে ৩টি ডিম নষ্ট হলেও ২৮টি ডিম ফুটে অজগর ছানা জন্ম নিয়েছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন শুভ বলেন, ‘সাপের ছানাগুলো ইনকিউবিটরে রাখা হয়েছে। সাপের বাচ্চাগুলোকে পরিচর্যা করা হচ্ছে। ১৫ দিন পর তারা চামড়া বদল করবে। এর মধ্যে তারা কোনো খাবার গ্রহণ করবে না। ডিমের মধ্যে যে পুষ্টি ছিল তা দিয়েই এদের ১৫ দিনের খাবারের চাহিদা মিটবে। এরপর তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। অন্তত ২০-২৫ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পরামর্শে এসব সাপ প্রাকৃতিক বন বা অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, দেশে আর কোনো চিড়িয়াখানায় এভাবে সাপের ডিম সংগ্রহ করে বাচ্চা উৎপাদন করা হয়নি। অজগরের ডিম থেকে কৃত্রিম উপায়ে আমরাই প্রথম বাচ্চা ফোটাতে সক্ষম হয়েছিলাম ২০১৯ সালে। অজগরের সেই ছানাগুলো বন্য পরিবেশে ছাড়া হয। এবারসহ আমরাই প্রথম ও দ্বিতীয়বারের মত কৃত্রিম বাচ্চা ফুটিয়েছি।’ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা (নির্বাহী) কমিটির সদস্য সচিব ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘এই সাপগুলো বড় হলে প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যে কিংবা ইকোপার্কে ছেড়ে দেয়া হবে। এর আগে একই পদ্ধতিতে জন্ম নেয়া সাপ ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এবার আমরা ফটিকছড়ির হাজারিখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ছাড়ার চেষ্টা করব।’ তিনি বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রাণি সংরক্ষণ, গবেষণা, শিক্ষা ও বিনোদনে ভূমিকা রাখছে। আমরা প্রাণি সংরক্ষণে চিড়িয়াখানার কার্যক্রম বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছি। চিড়িয়াখানা শুধু বিনোদনের স্থান নয়, শিক্ষা এবং গবেষণা নিয়েও কাজ করে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে জানান তিনি।

# ২৩.০৬.২০২১ চট্টগ্রাম #