চলমান সংবাদ

বাঁধ খুলে দিলেও সুফলের আশা কম

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের চলমান কাজের জন্য নগরীর বিভিন্ন খালের মুখে দেয়া বাঁধগুলো গত ৬ জুন থেকে অপসারণের কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে করে নগরীর জলাবদ্ধতা কম হবে বলে মনে করা হলেও আশানুরূপ সুফল মিলবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন সচেতন মহল। কেননা দীর্ঘদিন ধরে থাকা বাঁধের কারণে খালের বিভিন্ন স্থানে মাটির স্তুপ জমে গেছে এবং এসব মাটির স্তুপে নগরবাসী ফেলা মাংলা-আবর্জনার বর্জ আটকে পানি নিষ্কাসনের পথ বন্ধ হয়ে হেছে। গত ৬ জুন সামান্য বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার পর ঐদিন বিকাল থেকেই খালের মুখের বাঁধগুলো অপসারণ শুরু করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। কিন্তু সরেজমিন দেখা গেছে, যে খালের মুখে ৩০ ফুট উচ্চতার বাঁধ দেয়া হয়েছিল, সেখানে অপসারণ করা হয়েছে মাত্র ১০ ফুটের মত। কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণভাবে বাঁধগুলোকে অপসারণ না করাতে একদিকে যেমন পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি নগর থেকে বয়ে আসা ময়লা-আবর্জনাগুলো আটকে গিয়ে নতুন আরেক সমস্যার সৃষ্টি করছে। অথচ বাঁধগুলো পুরোপুরি অপসারণের ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীও সিডিএ’কে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে বাঁধ অপসারণের কারণে খাল খনন বা খালের মুখে স্লুইস গেট নির্মাণ প্রকল্পের কাজই বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, মেগা প্রকল্পের মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাঁধ অপসারণ করার কারণে স্লুইস গেট নির্মাণ কাজসহ অন্যান্য কাজও বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে করে প্রকল্পের বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে গিয়ে এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে নতুন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। # ১৪.০৬.২০২১/চট্টগ্রাম#