নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাসঃ মাছ-মাংস-সবজির পাশপাশি বেড়েছে আলুর দামও
নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। মাছ-মাংসের দাম তো বটেই, সবজির বাজারও আকাশছোঁয়া। নি¤œ আয়ের মানুষের খাদ্য আলুর দামও বেড়েছে গত সপ্তাহের তুলনায়। শাক-সবজি, মাছ-মাংসের পাশপাশি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে তেল-চিনি-ডিম। শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি শত টাকা আর অন্যান্য সবজি ৫০-৬০ টাকার উপরে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৭ টাকায়, যা দুদিন আগেও ছিল ১৮-২০ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর-টমেটো ১৪০ টাকা, ঝিঙ্গা-লাউ ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, বেগুন ৭০, পটল ৫০, মূলা ৫০, বরবটি-করলা ৮০, করলা ৬০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০, বরবটি ৭০-৮০ টাকা ও ঢেড়শ ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে। পাকিস্তানি কক বা সোনালিকা মুরগির ৩৪০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া পেঁয়াজ ৫০ টাকা, আদা ১৩০ টাকা, রসুন ৯০ থেকে ১২০ ও হলুদ ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মসুর ডাল (মোটা দানা) ৯০ টাকা ও ছোট দানা ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০, খোলা তেল ১৫২ ও পামতেল ১৪২ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম বাড়ার বিষয়ে আলু ব্যবসায়ী মো. দিদার বলেন, গত রোববারও এক কেজি আলু ২০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু পাইকারিতে দাম বাড়ায় এখন ২৫ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন কোল্ড স্টোরেজে আলুর মজুদ প্রায় শেষ হয়েছে, তাই দাম বাড়ছে। সবজি বিক্রেতা মো. নাছির বলেন, বাজারে নতুন সবজির দাম তো বেশি থাকবেই। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। মুরগির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিক্রেতা পাপ্পু বলেন, এখন সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে গেছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টেও চাহিদা বেড়ে গেছে, তাই মুরগির দাম বাড়তি। তবে সরবরাহ বাড়লে দুই-একদিনের মধ্যে মুরগির দাম কমে আসবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারী মোকতার হোসেন বলেন, বাড়তি দামের কারণে মাছ-মাংস খুব একটা খাওয়া হয়না। সবজির দামও চড়া। গরীবের প্রিয় খাবার আলুভর্তা আর ডাল দিয়ে বেশিরভাগ সময় ভাত খাই। এখন আলুর দামও বেড়েছে। নি¤œ আয়ের গরিব মানুষ কিভাবে খাবে ?
# ২৯.১০.২০২১ চট্টগ্রাম #