সৈয়দ আশরাফের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী
১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালের ১ অক্টোবর, অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনেও সৈয়দ আশরাফ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এসময় তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন।
সৈয়দ আশরাফ ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তীসময়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।
২০১২ সালের জাতীয় সম্মেলনে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৬ সালের সম্মেলনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিতও হন।
তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি সৈয়দ আশরাফ ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি।
ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। স্বাধীনতার পর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। এছাড়া ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্বও পালন করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেন সৈয়দ আশরাফ। তিনি ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।
# ০৩/০১/২০২৩, ঢাকা #