চলমান সংবাদ

ভারতে বাংলা ভাষা আন্দোলন-৩

-ইকবাল সরোয়ার সোহেল

ইকবাল সরোয়ার সোহেল (ফাইল ফটো)

নরমেধ-যজ্ঞের অনুষ্ঠানে একে একে লুটিয়ে পড়লো বীর সত্যাগ্রহী নয়জন ভাষাসৈনিক তারাপুর স্টেশনের কাছে রেল লাইনের উপর। তাঁর মধ্যে ছিল এক ছাত্রীর মৃত দেহ। ছাত্রী কমলা ভট্টাচার্য হলেন, বাংলা ভাষা আন্দোলনের এক মাত্র মহিলা শহিদ। পরের দিন অবশ্য, রেল লাইনের ধারে অন্য আরও দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বায়ান্নর পর’ ৬১তে মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিলেন বাঙালি। শহীদ হলেন – কমলা ভট্টাচার্য, শচীন্দ্র চন্দ্র পাল, কানাই লাল নিয়োগী, হিতেশ বিশ্বাস, সুকোমল পুরকায়স্থ, তরণী দেবনাথ, চন্ডীচরণ সূত্রাধর, সুনীল সরকার, কুমুদরঞ্জন দাস, সত্যেন্দ্র দেব ও বীরেন্দ্র সূত্রধর। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও ২৪ বছর বেঁচে ছিলেন কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাস। হত্যা নির্যাতন চালিয়ে পুলিশ সেদিন আন্দোলনের গতিরোধ করতে পারেনি। শহীদের লাশ আন্দোলনকারীদের নতুন শক্তিতে উদীপ্ত করে। অভূতপূর্ব গণজাগরণের মুখে অবশেষে নতি স্বীকার করতে হয় সরকারকে। ১৯৬০ সালের অসম ভাষা আইনকে সংশোধন করা হয়। ১৯৬১ সালে শহীদের রক্তেভেজা বরাক উপত্যকায় বাংলাভাষা সরকারি ভাষার স্বীকৃতি লাভ করে। অধিষ্ঠিত হয় মর্যাদার আসনে। একুশে ফ্রেব্রুয়ারির মতোই ১৯ মে ওপার বাংলার বাঙালিদের চেতনাকে জাগ্রত করে। প্রতি বছরই ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয় যথাযোগ্য মর্যাদায়।উল্লেখ করার মতো ব্যাপার হচ্ছে, সেদিন যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের প্রায় প্রত্যেকের বাড়ি ছিল বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট জেলায়। এদের মধ্যে কেউ কেউ সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলনের সঙ্গেও।

এরপরও ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট সেবা সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবিতে ভাষা আন্দোলনে শহীদ হন করিমগঞ্জের বিজন চক্রবর্তী। ১৯৮৬ সালের ২১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে বাংলা ভাষার দাবির আন্দোলনে শহীদ হন করিমগঞ্জের আরো দুজন -জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাস।

১৯৬১র ভাষা আন্দোলনের পর বাংলা ভাষা বরাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা পায় ঠিকই, কিন্তু ওইটুকুই। আজও শহীদের মর্যাদা পাননি ভাষা আন্দোলনের শহীদেরা। এমনকি অদ্যাবধি রহস্যাবৃতই রয়ে গেল’ ৬১-এর ভাষা আন্দোলন। ভারতের আসামে বরাক উপত্যকায় বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে শহীদ ১১ জনের মৃত্যুরহস্য উন্মোচনে ভারত সরকারের অনীহা একরকম গা-সওয়াই হয়ে গেছে আসামের বাঙালিদের। তাই ১৯ মে এখনো ক্যালেন্ডারের একটি দিনমাত্র, বেশি কিছু নয়। শুধু শহীদবেদিতে পুষ্পস্তবক প্রদান আর গুরুগম্ভীর আলোচনার মাধ্যমেই শহীদদের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ রেখেছে শিলচরের মানুষ। এর বাইরে ১৯ মে নিয়ে শিলচরেরই তেমন আগ্রহ চোখে পড়ে না; বরং অরাজনৈতিক আন্দোলনকে এখন রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অথচ ঘটনার রহস্য উন্মোচনে গঠিত বিচার বিভাগীয় কমিশনের রিপোর্ট ৫৫ বছরেও প্রকাশিত হলো না।

১৯ মের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে গঠিত বিচারপতি গোপাল মেহেরতরা কমিশনের রিপোর্ট আজও প্রকাশিত হয়নি। শুধু স্থাপিত হয়েছে কয়েকটি শহীদবেদি। শিলচরের তারাপুর রেলস্টেশনে এখন শহীদদের নাম ও ছবি টাঙানো হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় ভোট বড় বালাই। তাই বিধানসভা ভোটের আগে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ হঠাৎ করে শিলচরের ভাষা আন্দোলনেও কংগ্রেসের অবদান দাবি করে বসলেন। তাঁর মতে, সেই সময় বরাকের কংগ্রেসের কর্মীরাও আন্দোলনে যোগ দেন। এটা ঠিক, বরাকের সব শ্রেণির মানুষই সেদিন আন্দোলনে শামিল হয়েছিল। কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারাও ছিলেন সেই আন্দোলনে। কিন্তু দল হিসেবে কংগ্রেসের সেখানে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ আন্দোলনটাই ছিল আসামের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে। আসামের বরাক উপত্যকার বাঙালিরা আজও বঞ্চিত। উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য ছোট ছোট জনগোষ্ঠী পৃথক রাজ্য পেলেও বরাক থেকে দাবিটুকুও উঠছে না সেভাবে। জনসংখ্যার নিরিখে বরাক যদি পৃথক রাজ্য হয়, তবে সেটা হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য। বর্তমানে এই অঞ্চলের আট রাজ্যের মধ্যে ৩৮ লাখের ত্রিপুরা দ্বিতীয় বৃহত্তম। বরাকের লোকসংখ্যা ৪২ লাখেরও বেশি।

ছত্তিশগড়ঃ

১৯৪৭ এর দেশ ভাগের পর পূর্ব বাংলার হিন্দু উদ্বাস্তুদের দণ্ডকারণ্য প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩২ টি গ্রামে পুনর্বাসন দেওয়া হয়, যার মধ্যে ৩৩ টি গ্রামই পখাঞ্জুরে অবস্থিত। পরবর্তী কালে বাঙালিদের বাংলায় পঠনপাঠন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, দণ্ডকারণ্য প্রজেক্ট বন্ধ হলে ছত্তিশগড় সরকার পরে বাংলায় শিক্ষার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেন। বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয় গুলিকে হিন্দি মাধ্যমে রূপান্তর করা হয়। সামান্য কিছু বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে বাংলা মাধ্যম পুস্তক সরবরাহ করা হয় নি। বাঙালি পড়ুয়ারা বৈষম্যের মুখোমুখি হয়। পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে নিখিল ভারত বাঙালি উদ্বাস্তু সমিতির নেতৃত্বে আন্দোলনের রূপ ধারণ করে বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বাংলায় পঠনপাঠন এবং সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহারের দাবিতে আন্দোলন চলতে থাকে। ছত্তিশগড়ের পখাঞ্জুর থেকে শুরু করে রাজধানী দিল্লিতে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সাময়িক কিছু সমস্যার সমাধান হলেও বাকি দাবিতে সংগ্রামকারীরা আজও আন্দোলনরত।

পড়ুন:  ভারতে বাংলা ভাষা আন্দোলন-২ -ইকবাল সরোয়ার সোহেল

কর্ণাটকঃ

পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তু হিন্দুদের এক অংশ দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের মুলত রায়চুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নেয়। সেখানের বাঙালি পড়ুয়াদের বাংলায় পাঠনপাঠনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বাংলা মাধ্যমের দাবিতে ও বাংলা ভাষাকে পাঠ্য বিষয় হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কর্ণাটকের বাঙালিরা আন্দোলন করেছিল। তাদের আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়ে বাঙালি অধ্যুষিত গ্রাম গুলিতে বাংলা পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করে কর্ণাটক সরকার। বাঙালিদের আন্দোলনে বাংলাকে কর্ণাটকের দ্বিতীয় ভাষার স্বীকৃতি দেয় কর্ণাটক সরকার।

বিহার-মানভূমের বাংলা ভাষা আন্দোলনঃ

বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষাকরণের দাবিতে ভারতের বিহার রাজ্যের মানভূম জেলায় বাংলা ভাষা আন্দোলন ১৯১২ সালে শুরু হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে ভাষা আন্দোলন তীব্র ভাবে ছড়িয়ে পড়ে মানভূমের বাঙালিদের মধ্যে। মানভূমের এই ভাষা আন্দোলন পৃথিবীতে ঘটা দীর্ঘতম ভাষা আন্দোলন। ১৯৫৬ সালের আগে পুরুলিয়া জেলা বিহারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই সময় রাজনৈতিক ভাবে বিহারের স্কুল-কলেজ-সরকারি দপ্তরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে বাংলাভাষী জনগণ হিন্দি ভাষার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার চেষ্টা করা হয়; কিন্তু, বাংলা ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় পুরুলিয়া কোর্টের আইনজীবী রজনীকান্ত সরকার, শরৎচন্দ্র সেন এবং গুণেন্দ্রনাথ রায় জাতীয় কংগ্রেস ত্যাগ করে জাতীয়তাবাদী আঞ্চলিক দল লোকসেবক সঙ্ঘ গড়ে তোলেন। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে তাদের সুদৃঢ় আন্দোলন করেন। এরপর ১৯৫৬ সালে ভারত সরকার মানভূম জেলা ভেঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সঙ্গে একটি নতুন জেলা (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরুলিয়া জেলা) সংযুক্ত করতে বাধ্য করেন। মানভূম ভাষা আন্দোলনের উদ্দেশ্যে পাকবিড়রায় আন্দোলনকারীরা শপথ নিচ্ছে।

প্রেক্ষাপট: ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় শাহ আলম বক্সারের যুদ্ধে পরাজিত হলে তিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বিহার ও উড়িষ্যা সমেত সমগ্র বাংলার দেওয়ানী দিতে বাধ্য হন। কোম্পানি বাংলার জঙ্গলমহল এলাকায় কর সংগ্রহ করা শুরু করলে তারা প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এই এলাকাকে ১৭৭৩ খ্রিষ্টাব্দে পাঞ্চেত, ১৮০৫ খ্রিষ্টাব্দে জঙ্গল মহল এবং ১৮৩৩ খ্রিষ্টাব্দে মানভূম এই তিন ভাগে ভাগ করেন। মানভূম জেলার সদর দপ্তর হয় মানবাজার। এই জেলা বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলা ও বর্ধমান জেলা এবং ঝাড়খন্ড রাজ্যের ধানবাদ, ধলভূম ও সেরাইকেলা খার্সোয়ান জেলার অংশ নিয়ে ৭,৮৯৬ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে তৈরী করা হয়। পরবর্তীকালে ১৮৪৫, ১৮৪৬, ১৮৭১ ও ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মানভূমকে আরো ভাগ করা হয়। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হলেও বাংলা ভাষাভাষী সমগ্র মানভূম ও ধলভূম জেলাকে নতুন তৈরী বিহার-উড়িষ্যা রাজ্যের অন্তর্গত করা হয়। এই বিভক্তির ফলে ঐ অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ জানালেও ঐ সিদ্ধান্ত রদ হয়নি। জাতীয় কংগ্রেসের ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের নাগপুর অধিবেশনে ভাষাভিত্তিক প্রদেশ পুনর্গঠনের দাবী আনুষ্ঠানিক ভাবে গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে বিহারে জাতীয় কংগ্রেস মন্ত্রীত্ব লাভ করার পর ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের সভাপতিত্বে ‘মানভূম বিহারী সমিতি’ নামক এক সংগঠন গড়ে ওঠে। এর বিপরীতে মানভূম জেলার বাঙ্গালীরা ব্যারিস্টার পি আর দাসের সভাপতিত্বে ‘মানভূম সমিতি’ নামক সংগঠন তৈরী করেন। বিহার সরকার আদিবাসী ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে প্রাথমিক স্তরের বিদ্যালয় খুলতে শুরু করলে বাঙ্গালীরাও বাংলা স্কুল খুলতে তৎপর হয়ে পড়েন। এই সময় সতীশচন্দ্র সিংহ রাঁচি, পালামৌ, সিংভূম ও মানভূম জেলা নিয়ে ছোটনাগপুর নামক এক নতুন প্রদেশ গঠন বা বাংলার সঙ্গে পুনরায় সংযুক্তির প্রস্তাব করেন।

স্বাধীনতার পরবর্তী দিনগুলি:

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পর থেকে জাতীয় কংগ্রেসের ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের নীতির বাস্তব রূপায়নের দাবিতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিকতা বেড়ে উঠতে শুরু করে। সেই পরিস্থিতিতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু দেশের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তাকে বিবেচনা করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রদেশ গঠনের সুপারিশ করেন এবং সেই হিসেবে ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিশন বা দার কমিশন নিয়োগ করেন। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে্র ডিসেম্বর মাসে কমিশন মত দেয় যে, স্বাধীনতার সাথে সাথে জাতীয় কংগ্রেস তার অতীত অঙ্গীকার থেকে অব্যহতি পেয়েছে এবং শুধুমাত্র ভাষাভিত্তিক প্রদেশ গঠন না করে ভারতের ঐক্যবদ্ধতাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই কমিশনের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ও পট্টভি সীতারামাইয়াকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের এক উচ্চপর্যায়ের কমিটি নিয়োজিত হয়।

১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তৎকালীন বিহার সরকার ঐ রাজ্যের মানুষদের ওপর হিন্দী ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রাথমিক স্তরে ও সরকারি অনুদান যুক্ত বিদ্যালয়ে হিন্দী মাধ্যমে পড়ানোর নির্দেশ আসে, জেলা স্কুলগুলিতে বাংলা বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয় ও হিন্দীকে বিহার রাজ্যের আনুষ্ঠানিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

লেখকঃ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক