চলমান সংবাদ

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ

– জ্ঞান, বিজ্ঞান ও মনুষ্যত্ব ধ্বংসকারী জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ বাতিল কর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত দোষীদের দ্রুত   বিচার কর

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগরের উদ্যোগে  গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২  টায় নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।মিছিল পরবর্তীতে শহীদমিনারে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নগর কমিটির সভাপতি দীপা মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আলজাওয়াদের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সহ-সভাপতি রিপা মজুমদার, অর্থসম্পাদক লাবনী আক্তার।

বক্তারা বলেন, ১৯৮২ সালে স্বৈরাচার এরশাদ ক্ষমতায় আসার পরই মজিদ খান শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষাকে সাম্প্রদায়িকীকরণ করে, শিক্ষাকে কর্মমুখী ও উৎপাদনমূখী করার সাথে সাথে উচ্চ শিক্ষাকে ব্যয়বহুল ও সংকুচিত করে। এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সে সময়ে বাংলার ছাত্র সমাজ তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারীর এই আন্দোলন দমন করার জন্য পুলিশ বাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করে জাফর,জয়নাল,দীপালিসহ আরো অনেককে। যে দাবি ১৯৮৩ তে উঠেছিল; সেই শিক্ষা ব্যবস্থা আজও আমাদের রাষ্ট্র পূরণ করতে পারেনি। ব্যক্তিমালিকানা ভিত্তিক অসম সমাজের শাসক শ্রেণী তাদের শ্রেণীগত স্বার্থে শিক্ষাকে ব্যয় বহুল করছে, উচ্চ শিক্ষাকে সংকোচন করছে, সাম্প্রদায়িকীকরণ করছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে। শিক্ষাক্রম ২০২১ এর মাধ্যমে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও মনুষ্যত্বকে ধ্বংস করছে এবং   বিচার-বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাকে নষ্ট  করছে। তাই শিক্ষা রক্ষার আন্দোলন ও সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রচেষ্টা ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। বক্তারা আরো বলেন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত দোষীদের দ্রুত বিচার করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থীর  নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।

বক্তারা শিক্ষা রক্ষার এই আন্দোলনসহ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান।