চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামের পরিবেশ প্রকৃতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যুব ইউনিয়নের উদ্বেগ প্রকাশ

চট্টগ্রামের পরিবেশ প্রকৃতি নিয়ে এবং চট্টগ্রামের শিশু কিশোর দের শারিরিক মানসিক বিকাশের জন্য উপকারি শিশুপার্ক কমে যাওয়ায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শারিরিক মানসিক বিকাশ নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন,  চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ। এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি মো: শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরী বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রাম এমনিতেই তার সৌন্দর্য হারিয়েছে বহু আগেই। এই নগরীতে নেই কোন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা যেন এই নগরবাসীর নিত্য সঙ্গী। খেলার মাঠ নেই, বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য নেই যথেষ্ট পার্ক, নগরবাসির সংখ্যা বেড়েছে, বাড়েনি শিশুপার্ক, বড়দের পার্ক, খোলা জায়গা। যত্রতত্র  উঠেছে শুধু বহুতল ভবন। সরকারি বেসরকারি কোন ভবনেই নেই কোন খোলা জায়গা যেখানে অন্তত একটা গাছ লাগানো যাবে। সরকারি বেসরকারী মদদে এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চলে পাহাড় কেটে বসতি গড়ার ধুম। যে কয়টি খেলার মাঠ আছে সেগুলোতে বছরের বেশিরভাগ সময় চলে কোনো না কোন মেলা। আর এভাবে খেলাধুলার জায়গা না পেয়ে তরুণ সমাজ ঝুকছে মাদকের নেশায়।  ২নং গেট এলাকায় বিপ্লব উদ্যানে আবারো নতুন স্থাপনা নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, নতুন চুক্তিতে এই উদ্যানে বিলবোর্ড লাগানো হবে এবং মেলার জন্য ভাড়া দেওয়া হবে এবং মঞ্চ করে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করা হবে, যেখানে বছরখানেক আগেই বেশকিছু রেস্টুরেন্ট করে ওই এলাকার মানুষের নিশ্বাস ফেলার ছোট জায়গাটির পরিবেশ নষ্ট করেছে চসিক শুধুমাত্র বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে।

নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, ২ নং গেট বিপ্লব উদ্যানে নতুন কোন স্থাপনা তৈরি করলে সেটি চট্টগ্রামবাসী মেনে নেবে না, নেতৃবৃন্দ বিপ্লব উদ্যান থেকে সকল রেস্টুরেন্ট তুলে দিয়ে জায়গাটি শুধু পার্ক হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবী জানান এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে কাজীর দেওরি শিশুপার্ক বন্ধের সিন্ধান্ত হলে অন্যত্র  চট্টগ্রামে শিশুদের জন্য নতুন করে পার্ক নির্মাণের দাবি জানান।  সেই সাথে নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অন্যতম জায়গা ডিসি হিল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য পুনরায় উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন চট্টগ্রাম পরিবেশ প্রকৃতি এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে এসব দাবি কার্যকর করা না হলে সর্বস্তরের নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করে চট্টগ্রাম বাঁচানোর আন্দোলন শুরু করা হবে।