দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত হওয়ায় জাহাজভাঙ্গা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের ক্ষোভ ও নিন্দা
গতকাল সকাল ৮টায় মাহিনুর (প্রিমিয়াম) শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে কাজ করার সময় একজন শ্রমিক উপর থেকে নীচে পড়ে গিয়ে তাৎক্ষনিক মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে হতভাগ্য শ্রমিককে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কএজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিকের নাম মোহাম্মদ মুসলিম। তিনি ফেনী পৌরসভাধীন দাগন ভুঁইয়া এলাকার আব্দুর রবের ছেলে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।
জাহাজভাঙা শ্রমিক মুসলিমের মৃত্যুতে জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের পক্ষ থেকে সংগঠনের আহ্বায়ক তপন দত্ত এবং যুগ্ম আহ্বায়ক দ্বয় যথাক্রমে মুহাম্মদ শফর আলী এবং এ এম নাজিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তারা নিহত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতোমধ্যে ৪টি গ্রিন শিপ ব্রেকিং প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আরো একাধিক ইয়ার্ড গ্রিন শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছে। অধিকন্তু বাংলাদেশ সরকার হংকং কনভেশন অনুস্বাক্ষর করেছে। এমন এক উত্তরণের প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করেছিলাম, এইবার অন্তত শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কিন্তু গতকাল জাহাজভাঙা শ্রমিক মুসলিমের মৃত্যুতে আবারো জাহাজভাঙা শ্রমিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ, জাহাজভাঙা শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা এবং তদারকি ব্যবস্থা আরো কার্যকর করার জন্য আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ, নিহত শ্রমিক পরিবারকে শ্রম আইন অনুযায়ী ২ লক্ষ টাকা এবং জাহাজ পুণঃ প্রক্রিয়াজাতকরণ বিধিমালা ও আঞ্চলিক ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরো ৫ লক্ষ টাকাসহ মোট ৭ লক্ষ টাকা প্রদানের দাবি জানান।