চলমান সংবাদ

মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মহেশখালীতে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর সমাবেশ

আজ শনিবার (২৪ জুন) বিকেল ৪টায় কক্সবাজার জেলায় মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে  কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর সমাবেশ হয়েছে

বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন সংশপ্তক, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) ও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলোজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি) এর উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

সংশপ্তক এর ডেপুটি ডিরেক্টর  অগ্রদূত দাশগুপ্ত এর  সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন , মহেশখালী সুরক্ষা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন, পরিবেশকর্মী মোঃ আবু বক্কর, রফিকুল ইসলাম, মাহবুবুল আলম হান্নান প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার আলোকে ২০৫০ সাল নাগাদ শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নের জন্য সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ প্রাধান্য দিয়ে দেশজ মালিকানায় দেশের নীতি নির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

জাপানের কারিগরি সহায়তার অধীনে গোপনে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে জাইকা এই কাজ করছে যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই জাইকার অর্থায়নে জাপানি প্রতিষ্ঠান আইইইজে প্রণীত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী খসড়া আইইএমপি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনোমিক্স, জাপান (আইইইজে) বাংলাদেশের জন্য সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) প্রণয়ন করছে।

এর আগেও ২০১০ ও ২০১৬ সালেও জাইকার সহোযোগিতায় বিদ্যুৎ খাত বিষয়ক মহাপরিকল্পনা (পিএসএমপি)প্রণয়ন করা হয়েছিল। এগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল আমদানি-নির্ভর কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস।

বক্তারা আরও বলেন, আইইপিএমপি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চরম ঘাটতি রয়েছে। জাইকা বা বাংলাদেশ সরকার কোন পক্ষই এই প্রকল্পের বাজেট ও কার্যক্রমে প্রবেশ করেনি।

এসময় বক্তারা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদার জাপানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তাদের কোম্পানি ও প্রযুক্তি চাপিয়ে না দিয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।