চলমান সংবাদ

সংসদের চলতি অধিবেশনেই অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে স্কপ


অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিলকে শ্রম আইন পাশ কাটিয়ে শ্রমিকদের অর্জিত ধর্মঘটের আধিকার হরণের হীন অপচেষ্টা হিসাবে অবহিত করে সংসদের চলতি অধিবেশনেই এই বিল প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। গত ৩১ মে ২০২৩, বুধবার, সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর বর্তমান যুগ্ম সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা এর সভাপত্বিতে এবং সমাজতানিন্ত্রক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সঙ্ঘের সভাপতি চৌধুরী আশিকুল আলম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশের জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক বাদল খান, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নঈমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন, বাংলাদেশ বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভুইয়া, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাকিল আক্তার চৌধুরী, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর মোহাম্মদ আকন্দ, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারন সম্পাদক নুরুল আমিন, সরকারী কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব নোমান আল আজাদ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব, কদম ফোয়ারা, পল্টন মোড় হয়ে নূর হোসেন স্কয়ার সংশ্লিষ্ট সড়ক প্রদিক্ষণ করে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ, একদিকে ধর্মঘটের অধিকার, শ্রমিকের সংবিধান, আই.এল.ও কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত অধিকার। অপরদিকে বিদ্যমান শ্রম আইনেই ধর্মঘটের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বিগত একদশকে প্রস্তাবিত আইনে উল্লেখিত খাত সমূহে উল্ল্যেখযোগ্য ধর্মঘটের মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। তা স্বত্বেও ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার জন্য আলাদা আইনের প্রস্তাবনা দুরভিসন্ধিমূলক বলেই মনে হয়। তাছাড়া ধর্মঘট আহবানকারীর চেয়ে সমর্থনকারীর জন্য দ্বিগুণ শাস্তির প্রস্তাব এবং ধর্মঘট আহবানকারীদের অর্থনেতিকভাবে সহায়তা করার শাস্তি আরো বেশি করার প্রস্তাব প্রমাণ করে এই আইন শ্রমিকের সামগ্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংকুচিত করার উদ্দেশ্য থেকেই প্রণয়ন করতে চাচ্ছে।
সংসদের চলতি অধিবেশনেই শ্রমিক বিরোধী কালো আইন প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে বলেন শ্রমিকের অর্জিত অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে এবং আগামী ০৮ জুন ২০২৩, সকাল ১১টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে “সংবাদ সম্মেলন’ এর মাধ্যমে পরবর্তী কর্ম কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

# ০২/০৬/২০২৩, ঢাকা