চলমান সংবাদ

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কোতোয়ালি থানা সিপিবি’র বিক্ষোভ সমাবেশ

অব্যাহত দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গত শনিবার ২৭ মে, ২০২৩ শনিবার বিকাল ৬ টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি,  কোতোয়ালি থানা, চট্টগ্রামের উদ্যোগে কে.সি.দে রোডে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিবি কোতোয়ালি থানার সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরী’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মৃণাল চৌধুরী, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উত্তম চৌধুরী, রেখা চৌধুরী, দেবাশীষ সেন, রাশিদুল সামির, মো: রাসেল প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারা দেশে বাজারে আগুন জ্বলছে। চাল-ডাল-সবজি, তেল, চিনি, পিয়াজ, আদা, রসুন থেকে শুরু করে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোয়া। দেশের বিপুল অংশের শ্রমজীবী মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। গোটা বাজার আজ গুটিকয়েক ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। আবার সরকারের মন্ত্রীদের নানা বক্তব্য এই ব্যবসায়ীদের লুটপাটের ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করছে।

বক্তারা আরো বলেন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সীমাহীন দুর্নীতি-লুটপাটের দায় জনগণের কাধে চাপিয়ে দিতে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি করছে, ব্যবসায়ীরা সরকারের প্রশ্রয়ে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে, শিক্ষা চিকিৎসার খরচও আকাশছোঁয়া, শ্রমিকদের মজুরি বাড়ছে না। বোরো ধান কাটা প্রায় শেষ, কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না অথচ সার, কিটনাশক, বীজ, সেচের খরচ দফায় দফায় বাড়ছে। দেশের বাইরে টাকা পাচারের চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ পাচ্ছে কিন্তু অভিযুক্তরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। টাকা পাচার, ব্যয়বহুল মেগা প্রকল্প, আর দুর্নীতির কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে আর তার দায় চাপানো হচ্ছে জনগনের কাধে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলে নানা বাহবা নেয়া হলেও আজ সারা দেশে ভয়াবহ লোডশেডিং এ জনজীবন দুর্বিসহ। বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাচাঁমাল নেই। এই রকম এক দুর্বিসহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ দিনাতিপাত করছে।

তাই বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। মজুতদার -মুনাফাখোর ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। “উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় ব্যবস্থা” গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক গড়ে তুলতে হবে। স্বল্প আয়ের মানুষকে বাঁচাতে সারাদেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে। অতি দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দিতে হবে। তাই এই  সঙ্কটময় সময়ে কমিউনিস্ট পার্টিকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে লুটপাট ও  দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি বিরুদ্ধে তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তুুুুলতে হবে।সেই লক্ষ্যে কোতোয়ালির প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিভিন্ন গণসংগ্রাম গড়ে তোলার মত শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টির কোন বিকল্প নেই।

# ২৯/০৫/২০২৩, চট্টগ্রাম