চলমান সংবাদ

“বিশ্ব হাত স্বাস্থ্যবিধি দিবস” উপলক্ষে অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালসে সপ্তাহব্যাপী জনসচেতনতার উদ্যোগ

-স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী, রোগী সেবা প্রদানকারী ও রোগীর দর্শনার্থীদের, হাসপাতাল সংক্রান্ত সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি

-হাসপাতাল সংক্রান্ত সংক্রমণের জীবানু গুলো মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট হয়, যার বিরুদ্ধে বেশীর ভাগ এন্টিবায়োটিকই কোন কাজ করতে পারেনা

প্রতি বছর, বিশ্ব হাত স্বাস্থ্যবিধি দিবসটি ৫ মে পালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা। সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাপী প্রচারণার জন্য এই বছর প্রতিপাদ্য নির্ধারন করেছে জীবন বাঁচান, আপনার হাত পরিষ্কার করুন এবং সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসুন। বিশ্বমানের উন্নত হাসপাতাল হিসেবে, অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতাল আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুসরণ করে সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের সিইও, ড. আনানথ এন রাও বলেছেন, হাসপাতালের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস  এবং  প্রশাসন অন্যান্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংস্থা সমূহের সাথে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং সকল নাগরিকদের মধ্যে ভালভাবে হাতের পরিচ্ছন্নতা অর্জনের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সফল করার লক্ষ্যে সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা.শাহেনা আক্তার এবং অন্যান্যদের  উপস্থিতিতে, অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতাল এর নিজস্ব সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ম্যানুয়ালএর মোড়ক উন্মোচন এর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

 বিশ্ব হাত স্বাস্থ্যবিধি দিবস উপলক্ষ্যে অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালসের সিএমও ডা. প্রকাশ কে এন ও ইনফেকশন প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আকরাম হোসেন বলেন হাসপাতালে জীবানু  সংক্রমণ  প্রতিরোধে এবং এন্টিবায়োটিকে ধ্বংস না হওয়া জীবাণু আশেপাশের পরিবেশে ছড়িয়ে না পরার জন্য সকলের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।  হাসপাতালে ও হাসপাতাল থেকে জীবাণু সংক্রমণ সারা বিশ্বেই এখন প্রকট আকারে দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালে আগত ব্যক্তিদের সংক্রমণ, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী, রোগী সেবা প্রদানকারী ও রোগীর দর্শনার্থীদের, হাসপাতাল সংক্রান্ত সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের মধ্যে, প্রতি ১০ জনে এক জন এর মধ্যে, হাসপাতাল সংক্রান্ত সংক্রমণ হতে পারে। এবং এই হার আইসিইউ তে প্রতি ৩ জনে একজন। দেখা গেছে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের হাসপাতাল সংক্রান্ত সংক্রমণের জীবানু গুলো মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট হয়, যার বিরুদ্ধে বেশীর ভাগ এন্টিবায়োটিকই কোন কাজ করতে পারেনা। এজন্য এই ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রতিরোধই সর্বোত্তম উপায়। এই লক্ষ্যে সকলকে সঠিক নিয়মে হাত ধুতে হবে, যার মাধ্যমে ৫০% হাসপাতাল সংক্রান্ত সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়াও সকলকে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, হাসপাতালে রোগীদের সাথে সংস্পর্সের ক্ষেত্রে সংক্রমণ প্রতিরোধী নিয়ম মেনে চলতে হবে, হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে হবে, হাসপাতালে রোগীদের দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, বাহির থেকে কোন খাবার হাসপাতালে প্রবেশ না করানোই উত্তম। হাসপাতাল সংক্রান্ত সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি হাসপাতালে সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি থাকতে হবে ও নিয়মিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে। সাথে সাথে সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে উদবুদ্ধ করার জন্য জনসচেতনতামূলক কর্মসূচীর আয়োজন করতে হবে। হাসপাতালে সংক্রান্ত সংক্রমণ এর কারনে রেজিস্ট্যান্ট জীবানু গুলো এক রোগী থেকে অন্য রোগী, এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল, এক রোগী থেকে পরিবারের অন্য সদস্য, এক হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন লোকালয়ে ছড়িয়ে পরতে পরে।  তাই  জনগনের মধ্যে সচেতনতা সৃস্টির মধ্য দিয়েই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।”

 ৬ মে হাসপাতাল মিলনায়তনে, সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃস্টির লক্ষ্যে, “হাসপাতালে উন্নত গুণগত পরিষেবা নিশ্চিত করতে সংক্রমণ প্রতিরোধ কর্মসূচীর গুরুত্ববিষয়ের উপর সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইনফেকশন প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আকরাম হোসেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার।

 ৭ মে রোববার দিন ব্যাপী প্রধান নার্সিং কর্মকর্তা শান্তা আর সাহু এর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে সঠিক নিয়মে হাত ধোয়া ও হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

 ৮ মে সোমবার দুপুরে হাসপাতাল মিলনায়তনে, “হাসপাতাল থেকে সৃষ্ট সংক্রমণ প্রতিরোধে সমন্বিত ব্যবস্থাপনাএই বিষয়ের উপর সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফয়সাল আহমেদ। এরপর সংক্রমণ প্রতিরোধের উপর বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশ্ন উত্তর পর্ব ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হবে।

 ৯ মে মঙ্গলবার  দুপুরে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে, এতে উপস্থিত থাকবেন হাসপাতালের সকল স্বাস্থ্য কর্মী, সিইও ড. আনানথ এন রাও, সিএমও ডা. প্রকাশ কে এন।

# ০৫/০৫/২০২৩, প্রেস বিজ্ঞপ্তি #