un

চট্টগ্রামে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত

চট্টগ্রামে প্রথম ও প্রধান ঈদ জামাত জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টায় পবিত্র ঈদ উল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আয়োজনে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন ধর্মপ্রাণ হাজারো মুসলমান। এতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।
খুতবায় রোজা ও ঈদের তাৎপর্য তুলে ধরেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তি সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষ সম্প্রীতি নিয়ে বসবাস করে। শান্তি-সম্প্রীতি নষ্ট হয়, আমরা এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য পরিহার করবো।
প্রথম জামাত শেষ হওয়ার পর একই ঈদগাহে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মৌলানা আহমুদুল হক।
ঈদ জামাত শেষে দোয়া ও মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানায় হাজারও হাত। গুনাহ থেকে মুক্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করা হয়।
ঈদগাহ ময়দানে সকলের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিনসহ নানা শ্রেণী পেশার মুসল্লীরা একসাথে কাতারবন্দি হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। মুসল্লীরা দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ঈদুল ফিতরের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টায় স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ জামাতে ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা ড. সাইয়েদ আবু নোমান। ঈদ জামাতের আগে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও কেন্দ্রীয় জামাত কমিটির সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল কেন্দ্রীয় কবরস্থানের। সেটি আমি পূরণ করার কথা দিয়েছি। নগরের বায়েজিদ লিংক রোডের জঙ্গল সলিমপুরে প্রায় দুই একর জমি নতুন কবরস্থানের জন্য দেয়া হয়েছে। আমি চট্টগ্রাম নগরকে একটি নান্দনিক নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এতে সকলের সহযোগিতা কাম্য।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে সেজন্য আমরা দোয়া করবো। সেই সঙ্গে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে যাচ্ছি, সেজন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবো। এসময় সমাবেত মুসল্লিদের শুভেচ্ছা জানান চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ড. আব্দুল আজিজ ভূঁইয়া।
ঈদ জামাতে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) আবু রায়হান দোলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল মালেক, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এনডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম।

# চট্টগ্রাম, ২২ এপ্রিল ২০২৩