চলমান সংবাদ

রমজান মাসে হোটেল এবং কমিউনিটি সেন্টার শ্রমিকদের মজুরিসহ ঈদ বোনাস দিতে হবে

 

হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেটার্স শ্রমিকেরা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক হলেও তারা অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের মতো চাকরি করে এবং কেবল কাজ করলেই মজুরি পায় আর কাজ না করলে মজুরি পায় না। শ্রম আইন অনুযায়ী কোন সবেতন ছুটি পায়না। নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক ইত্যাদি কোন কিছুই এই দুই সেক্টরের শ্রমিকদের দেওয়া হয়না। কাজ শেষে যে মজুরি তারা পায় তা এতই অপ্রতুল যে, বর্তমান উর্ধ্বগতি্র  বাজারমূল্যের সাথে কোনভাবেই  সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। রমজান মাসে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কমিউনিটি সেন্টার এবং ডেকোরেটার্স শ্রমিক ছাটাই বন্ধ এবং রমজান মাসের মজুরিসহ ঈদ বোনাস প্রদানের দাবীতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।

আজ বিকাল ৩টায় জামালখান চেরাগি মোড়ে বিলস-শ্রমিক সংহতি ফোরাম এবং চট্টগ্রাম যুব ট্রেড ইউনিয়ন নেটওয়ার্কের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক আবু আহাম্মদের সভাপতিত্বে এবং বিলস সিনিয়র কর্মকর্তা পাহাড়ি ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিলস এলআরএসসি সেন্টার কোর্ডিনেশন কমিটির চেয়ারম্যান এ এম নাজিম উদ্দিন, নারী প্রগতি সংঘের শরীফ চৌহান,  জাতীয় পরিবহণ শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, ইপসার কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী শাহীন, সংশপ্তকের ফারজানা কামাল, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, এডভোকেট ইকবাল হোসেন, হাসান মাহমুদ জাতীয় শ্রমিক লীগের লুৎফুন্নাহার সোনিয়া, জাবেদ আলম, বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি নুরুল আবছার তৌহিদ, জাতীয় শ্রমিক জোটের হুমায়ুন কবির প্রমুখ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, রমজান মাস সমাগত। ৩০ দিন সিয়াম সধনার পর এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা যখন ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে থাকবে তখন হোটেল, রেস্টুরেন্ট কমিউনিটি ও ডেকোরেটার্স  শ্রমিকদের ঘরে ঘরে দেখা দিবে তীব্র হতাশা। রমজান মাসে দিনের বেলায় হোটেল বন্ধ রাখার অজুহাতে ব্যাপকভাবে শ্রমিক ছাঁটাই হয়। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের মজুরি ও ঈদ বোনাস দেওয়া হয়না। অতিত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি ঈদ শেষে চাকরি পুনর্বহাল হবে কিনা তা নিয়েও শ্রমিকেরা চরম অনিশ্চয়তায় থাকে। এই বছর এ ধরণের কাজের পুনারাবৃত্তি হলে তা শ্রমজীবী মানুষেরা কখনো মেনে নেবেনা। তিনি চট্টগ্রামের শ্রমজীবী মানুষকে মালিক পক্ষের এইধরণের অমানবিক এবং বেআইনি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান করেন।