চলমান সংবাদ

গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ: ইস্টার্ন ব্যাংক কর্মকর্তার ২৭ বছরের সাজা

গ্রাহকের হিসাব থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে তহবিল ট্রান্সফার করে আত্মসাতের অপরাধে ইস্টার্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা ইফতেখারুল কবিরকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত। একই অপরাধে ব্যাংকটির গ্রাহক আবদুল মাবুদকে ১০ বছর এবং জাকের হোসেন বাপ্পীকে দেওয়া হয়েছে ৮ বছরের কারাদণ্ড।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তাদের এ সাজা দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ। একই রায়ে ইফতেখারুল কবিরকে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছর ৯ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।

অন্যদিকে দুই গ্রাহকের মধ্যে আবদুল মাবুদকে ৭৯ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর ৫ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইভাবে জাকের হোসেন বাপ্পীকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

পৃথক ৬টি ধারায় এ দণ্ড হলেও ইফতেখারুল কবিরকে দুটি ধারার সাজা আলাদা হিসেবে সর্বোচ্চ ১৭ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৩৫ মোতাবেক সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে গণ মাধ্যমকে জানিয়েছেন আদালতে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার মো. ইফতেখারুল কবির নগরীর চান্দগাঁও শাখায় দায়িত্ব পালনকালে গ্রাহক আবদুল মাবুদ ও জাকির হোসেন বাপ্পীর সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাংকটির আরেক গ্রাহক কনা দে’র নামে এফডিআর না খুলে অন্য গ্রাহকের হিসেবে ট্রান্সফার করে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের বিভিন্ন সময়ে এ ঘটনা ঘটলেও গ্রাহক ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। এ নিয়ে থানায় মামলা হয়। এ ধরনের বিভিন্ন গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ১১টি মামলা হয় ইফতেখারুল কবিরের বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে ইফতেখারুল কবিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। ওই মামলা তদন্ত শেষে ইফতেখারুল কবির, গ্রাহক আবদুল মাবুদ ও জাকির হোসেন বাপ্পীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।