চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম

– উদ্যোগ ব্যক্তির, সুফল সবার

চট্টগ্রামের সমুদ্র উপকূল কাট্টলীতে মোস্তফা-হাকিম গ্রুপের নির্মিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম।

চট্টগ্রাম নগরের সমুদ্র উপকূল কাট্টলীতে একসময় স্থানীয় শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার ভালো কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তাদের সেই দুঃখ ঘোচাতে ব্যক্তি-উদ্যোগে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছর গড়ে তোলা হয় ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম’

এই গ্রুপের অন্যতম সসদ্য সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমের হাত ছুঁয়ে তাঁর মা-বাবার নামে ‘মোস্তফা-হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে। সেই থেকে এই ফাউন্ডেশন নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সাবেক এই মেয়রের ঐকান্তিকতায় নগরের সমুদ্র উপকূল কাট্টলীর দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্থানে গড়ে তোলা হয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম।

ওই এলাকায় খেলাধুলা ও শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে এই স্টেডিয়াম সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখছে বলে জানান স্টেডিয়ামের দেখভালকারী উত্তর কাট্টলী মোস্তফা-হাকিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (সপরিবারে) সঙ্গে ঘাতকের বুলেটে মৃত্যুবরণ করে শিশু শেখ রাসেল। সেই স্মৃতিকে চিরজাগরূক রাখতে এম মনজুর আলমের ছেলের ঘরের নাতি নাবিদ আবদুল্লাহ মনজুর আলমকে সভাপতি করে গড়ে তোলেন ‘আমরা রাসেল স্মৃতি পরিষদ’। এই পরিষদের ব্যানারে প্রতিবছর খেলাধুলার আয়োজনের পাশাপাশি বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।

শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর গড়ে তোলা হয় এই স্টেডিয়াম। ৫১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের স্টেডিয়ামে রয়েছে ১ হাজার ২০০ দর্শক ধারণক্ষমতার সাধারণ গ্যালারি, ৩০০ ভিআইপি দর্শক ধারণক্ষমতার ভিআইপি গ্যালারি, একসঙ্গে ১৮ জনের ওয়াশরুম, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, খেলোয়াড়দের দুটি ড্রেসিংরুম, একটি মিলনায়তন, একটি ডাইনিং, অফিস, নিরাপত্তা কর্মকর্তার কক্ষসহ নানা সুবিধা। এ স্টেডিয়ামে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ১০০টি দুর্লভ ছবি নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’। স্টেডিয়ামটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

স্টেডিয়াম-সংলগ্ন উত্তর কাট্টলী মোস্তফা-হাকিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী তানিম আহমেদ বলেন, ‘সাগরপারের এই বিশাল এলাকায় খেলাধুলার ব্যবস্থা ছিল না। শেখ রাসেল স্টেডিয়াম হওয়ায় এখন আমরা খেলতে পারি। এলাকার শিশু-কিশোরেরাও এখানে খেলতে পারে।’

২০ লাখ টাকা নিয়ে ১৯৮০ সালে হাকিম পরিবারের পাঁচজন সদস্য যে ব্যবসা শুরু করেছিলেন, সেটি এখন রীতিমতো মহীরুহ। এম মনজুর আলমের বাবা ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আবদুল হাকিম মাইজভাণ্ডারী ১৯৬০ সালে শুরু করেন ঠিকাদারি ব্যবসা।

মোস্তফা-হাকিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মনজুর আলম বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের নির্মাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সন্তান শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অংশ হিসেবে স্টেডিয়ামটি করা হয়েছে। খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গঠনে অনন্য প্রয়াস এটি।