চলমান সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় গম চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

কম সময়ে ধানের চেয়ে বেশি ফলন ও লাভ হওয়ায় গম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কৃষকরা। এক সময় সাথী ফসল হিসেবে কিছু জমিতে গমের আবাদ হলেও রাঙ্গুনিয়ায় এখন বাণিজ্যিকভাবে গমের চাষ হচ্ছে। ২০২১ সালে প্রথমবারের মত ৮ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছিল। ভাল ফলন হওয়ায় পরের বছর ১১ হেক্টর এবং এ বছর ১২ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। এভাবে ক্রমান্বয়ে গম চাষের দিকে ঝুঁকছেন রাঙ্গুনিয়ার কৃষকরা।

গত বছর পারুয়া এলাকায় গম চাষ করেছেন কৃষক মো. ফয়সাল। তিনি জানান, হেক্টর প্রতি ৩২ হাজার টাকা খরচে বিক্রি হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। এভাবে তার মতো উপজেলার পোমরা, বেতাগী, পদুয়া, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের খরচের দ্বিগুণ লাভ উঠে এসেছে। তাই গম চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে।

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক কোকোনিয়া বিলে সরেজমিনে দেখা যায়, একসাথে ৮ কানি জমিতে গম চাষাবাদ করেছেন কৃষক জাহাঙ্গীর আলম ও মমতাজ হোসেন রাশেদসহ বেশ কয়েকজন কৃষক। প্রথমবারের মতো গম চাষ করেছেন তারা, ভাল ফলনের প্রত্যাশা করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১২ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। আবাদকৃত জমির মধ্যে ৪ হেক্টর জমিতে বারিগম–৩২ এবং ৮ হেক্টর জমিতে বারি গম–৩৩ চাষ করা হয়েছে। এবার প্রণোদনার মাধ্যমে ৭০ জন কৃষককে গম, বীজ ও সার দেওয়া হয়। রাজস্ব প্রকল্প ও এনএফএলসিসি প্রকল্প হতে ১১ জন প্রদর্শনীর কৃষকের মাঝে গম, বীজ ও সার এবং রাজস্ব প্রকল্প হতে ৩০ জন কৃষককে শুধু বীজ সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়াও গত বছর অনেক কৃষক বীজ সংরক্ষণ করেছিলেন যা এবার আবাদ করেছেন।

উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুস ছত্তার জানান, আমনে পাঁচ হেক্টর জমির ধান বিক্রি করে যে দাম পেয়েছিলেন তিনি, গতবার দুই হেক্টর জমিতে গম আবাদ করে তার চেয়ে বেশি টাকা পেয়েছেন। ধানের চেয়ে গমের দাম ও চাহিদা বেশি। তাই এবারও বেশি পরিমাণ জমিতে গম আবাদ করেছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার জানান, ধানের তুলনায় গমে সময় কম লাগে এবং লাভ বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত শীতকালে রবি মৌসুমে গম চাষাবাদ করা হয়। গম চাষে সময়মত ২টা সেচ দিতে পারলে উৎপাদন আরও বাড়বে। লাভও বেশি হবে। গম চাষে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বরাবরের মতো সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।