মতামত

..তাই হিরো আলমকেই চাই

-মহিবুল ইসলাম ফারুক


হিরো আলম যখন বিকৃতভাবে রবীন্দ্র সংগীত গাইছিল তখন আমারও ভীষণ খারাপ লেগেছিল; ছোট্ট একটি স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিবাদও করেছিলাম। গতকাল এক জায়গায় কিছু গুণীজনের সাথে বসেছিলাম। সেখানে প্রসঙ্গক্রমে হিরো আলমকে তুলোধোনা করা হচ্ছিল। তার এমপি ইলেকশনে দাঁড়ানো নিয়ে ট্রল হচ্ছিল। গুণীজনের মধ্য থেকেই একজন হঠাৎ করে বলে ওঠলেন, “হিরো আলম যদি আমার এলাকায় প্রার্থী হত আর সুষ্ঠু ভোট হতো তবে আমি তাকেই ভোট দিতাম।” উনার কথায় অনেকেই হইচই করে উঠলো, প্রথমে আমারও বেশ খারাপ লাগছিল। উনি একজন গুণীমানুষ, আমি অনেক শ্রদ্ধা করি। তাই তাঁর এমন মন্তব্য নিয়ে ভাবতে লাগলাম। এক সময় আমারও মনে হল— আমার এলাকাতেও যদি হিরো আলম দাঁড়ায় আর ভোট দানের সুযোগ পাই তবে আমিও তাকেই ভোট দেব! কেননা চোখের সামনে এত বছর যাবত দেখে আসছি যারা এতদিন পাস করেছেন–তারা অবস্থা সম্পন্ন উচ্চশিক্ষিত কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের হতাশই করেছেন। কেন জানি গোবেচারা হিরো আলমের ছবিটির দিকে তাকাতেই আজ আমার মনে হল– শিক্ষার বড় কোন সনদ না থাকুক, গান গাইতে না পারুক, অভিনয় করতে না পারুক কিন্তু হিরো আলমের জীবনে অন্তত সুতীব্র দারিদ্র্য আর অবজ্ঞার সাথে সংগ্রামের কঠিন অভিজ্ঞতা আছে। তাই সে জনগণের সাথে স্মার্টলী প্রতারণা করতে পারবে না, জনগণকে দম্ভ ভরে অবজ্ঞা করতেও পারবে না। আমার মনতলা স্টেশনে ভালো কোন রেলগাড়ি দাঁড়ায় না, মাধবপুর থেকে সড়কপথে চৌহমনী যেতে হলে মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায়! অথচ মাধবপুর থেকে চৌমুহনী হয়ে ধর্মঘরের মধ্যে একাধিক পুলিশ ফাঁড়ি, বিডিআর ক্যাম্প, উপজেলার সবচেয়ে পুরনো কলেজ (বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ), সরকারি হাই স্কুল ছাড়াও অনেকগুলো বেসরকারি শিক্ষালয়, বিখ্যাত মন্তলা বাজার-সহ কয়েকটি বাজার আর অনেক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান!
.
অতীতের কেউ আমাদের মনের কথা বুঝেনি। কেউ কথা রাখেনি। তাই হিরো আলমকেই চাই।
•••

মহিবুল ইসলাম ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ।