চলমান সংবাদ

আওয়ামী লীগ আবারো কোনো রকমে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে, অভিযোগ মীর্জা ফখরুলের

সমাবেশ
বরিশালের সমাবেশের একাংশ

বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবারও “কোন রকমে একটা নির্বাচন করে” আবার ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু সেটি তারা আর হতে দেবেন না।

“আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না,” মি. আলমগীর আজ শনিবার বিকেলে বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেছেন।

বিভাগীয় পর্যায়ে এটি বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ। দলটি এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা,ময়মনসিংহ ও রংপুরে সমাবেশ করেছে।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে দলটি ধারাবাহিক সমাবেশের এ কর্মসূচি পালন করছে।

তবে খুলনা ও রংপুরের মতো বরিশালের সমাবেশের আগেও পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শহরটি ওই অঞ্চলের অন্য জেলা ও উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শুক্রবার থেকেই।

যদিও বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মূলত দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা বরিশালে সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যান এলাকায় আসতে শুরু করে।

শুক্রবার রাতেও দলটির অনেক সমর্থকদের সমাবেশের মাঠেই অবস্থান করতে দেখা গেছে।

এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল।

শুক্রবার সারা দিনে ও শনিবার দুপুর পর্যন্ত নৌপথে ভাড়া করা ট্রলারে করে শত শত মিছিল বরিশালে এসে পৌঁছায়। এ সময় তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

তাদের কারও হাতে এসময় বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ দলটির নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি বহন করছিলেন।

দলটির নেতারা অভিযোগ করেছেন যে সমাবেশকে সামনে রেখে ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় তাদের দলের সমর্থকদের ওপর হামলা ও কার্যালয় ভাংচুরেরা ঘটনা ঘটেছে।

মিস্টার আলমগীর বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলা ও মামলা দেয়ার সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

তবে আগের সমাবেশগুলোর মতো এ সমাবেশেও তিনি স্পষ্ট করে বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না এবং এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।

বিএনপির সমাবেশ
ছবির ক্যাপশান, বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বিএনপি সমর্থকরা সমাবেশে আসেন।

“পদত্যাগ করতে হবে তাকে। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। সে সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তারা নির্বাচন করবে” বলেন মি. আলমগীর।

তিনি আরও বলেন যে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করেছে এবং এখন আবারো ভোট চুরি করে যে কোনো রকমে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।

দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারকে দায়ী করে বলেন রাজপথে ফয়সালা করেই তারা তাদের দাবি আদায় করবেন।

দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্যের আহবান জানিয়ে মিস্টার আলমগীর বলেন এ আন্দোলন তারা করছেন দেশকে বাঁচানোর জন্য ও দেশের ভবিষ্যতের জন্য।

বিএনপি মহাসচিব বলেন আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে এবং তারা দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায় গণতন্ত্রের মোড়কে।

“তারা সব টাকা পাচার করেছে বিদেশে। বিদ্যুৎ নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়েছে কিন্তু এখন বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুতের হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। এমন কোন ক্ষেত্র নাই যে চুরি করেনি। চুরি আর ঘুষ ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই। আওয়ামী লীগ এখন বর্গিদের মতো আচরণ করছে”।

তিনি বলেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারা আন্দোলনরত সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করবেন।