চলমান সংবাদ

মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন খাতে বরাদ্দে বৈষম্যের শিকার হল চসিক

মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় চসিককে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। অথচ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন দুই কোটি টাকা করে পেয়েছে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম রাজধানীর দুই সিটির এক চতুর্থাংশ বরাদ্দ পেয়েছে।
অবশ্য বরাদ্দের বাইরেও মশক নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন খাতে ঢাকার চেয়ে পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম। যেমন ঢাকা উত্তরে ৮৬৪ জন লোকবল নিয়মিত মশক নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। অথচ চসিকের মশক নিধন কার্যক্রমে জড়িত সর্বোচ্চ ৩০০ জন। এর মধ্যে মাত্র ২৬৪ জন প্রশিক্ষিত স্প্রে ম্যান রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা উত্তরে মশক নিবারনি দপ্তরের ১৪ জনসহ মশক নিধনে ৫৪ জন সুপারভাইজার কাজ করেন। চট্টগ্রামে এর অর্ধেকও স্থায়ী সুপারভাইজার নেই। এছাড়া ঢাকা উত্তরে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিবারনি দপ্তর হতে ৮ থেকে ১০ জন এবং আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১০ জন মিলিয়ে ১৮ থেকে ২০ জন স্প্রেম্যান মশক নিধনে স্প্রেম্যান হিসেবে কাজ করে থাকে। জানা গেছে, ঢাকা উত্তরে ১০ টি জোনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। চট্টগ্রামে জোন আছে ছয়টি। ঢাকা উত্তরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ডেপুটেশনে চারজন কীটতত্ত্ববিদ কর্মরত আছেন। চট্টগ্রামে একজনও নেই। ঢাকা উত্তরে এডাল্টিসাইট ছিটানোর জন্য ১৫টি ১৫০ লিটার ট্রাঙ্ক সমৃদ্ধ ভ্যাকেল মেথড থার্মাল ফগার মেশিন (গাড়িতে বহনযোগ্য উচ্চমাত্রার ফগিং সক্ষম) আছে। এ খাতেও পিছিয়ে চট্টগ্রাম।

# ০১/১১/২০২২, চট্টগ্রাম #