চলমান সংবাদ

ছাত্রদল নেতাকে হত্যার অভিযোগে ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

ছাত্রদলের এক নেতাকে পুলিশি হেফাজতে হত্যার অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনাসহ ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞার আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে একই আদালতে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান এই নালিশী মামলার আবেদন করেন।

মামলার আবেদনে উল্লেখিত আসামি হলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও চট্টগ্রাম জেলার সাবেক পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা, রাউজানের নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই শেখ মো. জাবেদ ও রাউজান থানার সাবেক ওসি মো. কেফায়েত উল্লাহ।

২০১৭ সালের ৩০ মার্চ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম ওরফে নুরুর লাশ রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছিল, নুরুর মাথায় গুলি এবং সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। হাত-পা রশি দিয়ে ও শার্ট দিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। মুখের ভেতর ওড়না ঢোকানো পাওয়া যায়।

ওইদিন দুপুরে নুরুর লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী, বোন ও ভগ্নিপতি। তখন পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছিলেন, ২৯ মার্চ রাত ১২টার দিকে সাদা পোশাকের কয়েকজন নুরুকে নগরীর চন্দনপুরা এলাকার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তবে রাউজান থানা পুলিশ সেসময় চট্টগ্রাম নগরীতে তাদের কোনো অভিযান ছিল না এবং নুরুকে তারা আটক বা গ্রেপ্তার করেনি বলে জানিয়েছিল।

এ ঘটনায় পাঁচবছর পর দাখিল করা নালিশী মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা পরিকল্পিতভাবে নুরুল আলম নুরুকে বাসা থেকে তুলে রাউজানের নোয়াপাড়া কলেজ মাঠে নিয়ে রাত ৩টা পর্যন্ত অমানুষিক নির্যাতন করে এবং পরে মাথায় গুলি করে হত্যা করে লাশ বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া ঠেলারঘাটে কর্ণফুলী নদীর তীরে ফেলে দেন। মামলার আবেদনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৩ (১), ৫ (২), ৪ (১) (ক) ও ১৫ (২) ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার আরজি জানিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছিলেন বাদী।

চট্টগ্রাম জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, সাবেক পুলিশ সুপার নুরুল আলম মিনাসহ ৩ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজত মৃত্যু আইনের ১৫(২) ধারায় আদালত বাদীর ২০০ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন। নথি পর্যালোচনা ও সার্বিক বিষয়ে বিবেচনায় করে মামলাটি খারিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

# ২৮.১০.২০২২ চট্টগ্রাম #