চলমান সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি

-নেতৃবৃন্দের সমন্বিত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামকে মডেল জেলা পরিষদ করতে পেয়ারুল ইসলামকে ভোট দেয়ার আহবান

সমন্বিত উন্নয়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদকে মডেল জেলা পরিষদে উন্নীত করতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামকে আনারস মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নেতৃবৃন্দ। নেতারা বলেন, দেশের সবচেয়ে বৃহৎ এবং প্রাচীন জেলা পরিষদ চট্টগ্রাম দেশের অনেক জেলা পরিষদ থেকে ১৫ গুণেরও বেশি বড়। এটির সামগ্রিক উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে প্রকল্প গ্রহণ করে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে । শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন নেতারা। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। সভায় চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরে নেতৃবৃন্দ বলেন, পাহাড়, নদী আর সাগর বেষ্টিত এই চট্টগ্রামকে প্রকৃতিই প্রাচ্যের রাণী হিসেবে গড়ে তুলেছে। হাজার বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ জেলার প্রতিটি এলাকায় সমান গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘গ্রাম হবে শহর’ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক শাহ চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সেকান্দর চৌধুরী, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান এইচএম আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরি প্রমুখ। জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, রাজনীতি আমার জন্য ইবাদত। আমার মতে, আওয়ামী লীগ করা পূণ্যের কাজ। এই দল করে এতটুকু এসেছি। দলীয় নেত্রী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে যে আস্থা রেখেছেন তার প্রতিদান প্রতি মুহূর্তে দেবো। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদকে মডেল জেলা পরিষদে পরিণত করবো। প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে সমবণ্টনের ভিত্তিতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত করবো। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পেয়ারুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়ে উত্তর চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাজিরহাট কলেজ ছাত্রসংসদের নির্বাচিত ভিপি ও চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ল’ স্টুডেন্টস ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় গ্রুন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং নব্বইয়ের ছাত্র গণ আন্দোলনের ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের লড়াকু যোদ্ধা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে ফটিকছড়ির সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। গত ১৪ বছর ধরে এলাকার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। চট্টগ্রামের উন্নয়নে পেয়ারুল ইসলামকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আহবান জানিয়ে আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিপেয়ারুল ইসলাম ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি সংসদীয় আসন থেকে মহাজোটের প্রাথী ছিলেন। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বারে বারে কারা নির্যাতিত এবং একাধিকবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও আপোষহীন, সাহসী, দৃঢ়চেতা, সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে জননন্দিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলে যোগ্যতা এবং দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হবেন। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর চ্ট্টগ্রামের উন্নয়নে রোডম্যাপ তৈরি করে প্রতিটি এলাকায় সুষম বণ্টন, সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়নে কাজ করবেন।

# ১৫.১০.২০২২ চট্টগ্রাম #