চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম সংবাদ

চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৭

নগরীতে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি সিএনজি অটোরিকশা, মিনিবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছে। এতে ১ জন পথচারী নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে নগরের নতুন ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম-পরিচয় পাওয়া না গেলেও আহতরা হলেন- আতিয়া রহমান (১২), রাব্বি আহমেদ (২২), রবিউল আলম (২২), মো. হেলাল উদ্দিন (৩২), দীপঙ্কর দে (৩৭), আবদুল মান্নান (৪৫), বিপ্লব দাস(৫০)।

জানা যায়, কক্সবাজারমুখী দ্রুতগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারীকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, দ্রুতগামীর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারীকে ধাক্কা দিয়েই রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এতে গাড়িটির পিছনে থাকা একটি মিনিবাস, একটি সিএনজি ও মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতেই ঘটনায় প্রায় ৭ জন গুরুতর আহত হয়।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রহিম বলেন, হানিফ পরিবহনের একটি বাস ব্রেক ফেল করে কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।

# ০৫.১০.২০২২ চট্টগ্রাম #

অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসা পড়ুয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় মো. মোদাসসির (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এসময় অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই যুবকের মা-বাবাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) নগরের পতেঙ্গার নাজিরপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাবের সদস্যরা।

এসময় অপহৃত ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মোদাসসির (২৫) এবং তার বাবা রেজাউল করিম (৫৩) ও মা সাবিহা সুলতানা (৪৫)। তারা চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা ছনুয়া এলাকার বাসিন্দা।

র‌্যাব জানায়, অপহৃত ছাত্রী হাটাহাজারী উপজেলার একটি মাদ্রাসা ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। সে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে আসামি মোদাসসির তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতো। ওই ছাত্রী তার এ সমস্যার কথা পরিবারের সদস্যদের জানায়। পরে ওই ছাত্রীর মা মোদাসসিরকে অনুরোধ করেন যাতে তার মেয়েকে আর উত্যক্ত না করে এবং লোকলজ্জার ভয়ে তিনি সালিশ-বিচার না করে মেয়েকে নিজ দায়িত্বে মাদ্রাসায় নিয়ে যেতেন।

কিন্তু গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রীর বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে যায়। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর ওই ছাত্রীর মা উঠানে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজনসহ আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে কোথাও না পেয়ে পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীর মা হাটহাজারী মডেল থানায় নিখোঁজ সংক্রান্তে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরে ওই ছাত্রীর মা জানতে পারেন যে, ঘটনার দিন রাতে আসামি মোদাসসির ও অজ্ঞাতনামা দুইজনের সহযোগিতায় তার মেয়েকে অপহরণ করে এবং একটি সিএনজি করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর মোদাসসিরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফোন করে তার মেয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে আসামি তার মেয়েকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় বলে স্বীকার করে।

পরে এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীর মা আসামি মোদাসসির এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২ জনকে আসামি করে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। একইসঙ্গে বিষয়টি র‌্যাবকে অবহিত করেন। এরপর থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি চালায় র‌্যাবের সদস্যরা।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ অক্টোবর বিকেলের দিকে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানাধীন নাজিরপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামি মোদাসসির ও তার মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইসঙ্গে অপহৃত ওই ছাত্রীকেও উদ্ধার করে র‌্যাব।

র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মোদাসসির এবং তার মা-বাবা স্বীকার করে, তারা গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে প্রথমে কক্সবাজারের পেকুয়া এবং পরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, গত ৩ অক্টোবর কক্সবাজার থেকে বাস করে চট্টগ্রাম আসেন। পরে সেখানে থেকে নগরের পতেঙ্গা থানাধীন নাজিরপাড়া এলাকার একটি বাসায় আত্মগোপন থাকে।

পরের দিন ৪ অক্টোবর ওই বাসা থেকে অপহৃত ছাত্রীকে নিয়ে গাজীপুর চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তি আসামিদের অবস্থান জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছেলে ও তারা মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইসঙ্গে অপহৃত ওই ছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

# ০৫.১০.২০২২ চট্টগ্রাম #