চলমান সংবাদ

কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাম জোটের বিক্ষোভ

-ভয় দেখিয়ে রাজপথের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার তার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যাতে মানুষ সংগঠিত হতে না পারে তার জন্য হামলা-মামলা-ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করতে চাইছে। কিন্তু অতীতের শিক্ষা ভয়ভীতির শাসন কখনো দীর্ঘায়িত হয় না। নেতৃবৃন্দ মানুষকে রাস্তায় নেমে এসে সরকারের ষড়যন্ত্র রুখে দেবার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ভয় দেখিয়ে রাজপথের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
গত ৯ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সিপিবি’র পূর্ব নির্ধারিত জনসভায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ-ওলামালীগ, পুলিশের হামলায় সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক, বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা ডাক্তার দিবালোক সিংহ, জেলা কমিটির সভাপতি নলিনী সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমদ, ছাত্রনেতা দীন ইসলাম, আবু সায়েম, পার্টি নেতা আব্দুল আজীজসহ নেতাকর্মীদের আহত করার প্রতিবাদে গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার, বিকালে ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোট-এর অন্যতম নেতা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর জুলফিকার আলী, , বাসদ (মার্কসবাদী)’র সীমা দত্ত, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ। সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের এখনো পুনর্বাসন করা হয় নি। কমিউনিস্ট পার্টি নেত্রকোনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের জন্য দাবি তুলে ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জনসভার আয়োজন করেছিল। আর পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা বিনা উষ্কানিতে সেখানে হামলা করেছে। বাম জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্সকে বক্তব্য দিতে দেয়নি।
নেতৃবৃন্দ, সিপিবির পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে হামলার জন্য কলমাকান্দার থানার ওসিকে অপসারণ, হামলাকারী ছাত্রলীগ-যুবলীগ-ওলামালীগ-শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে কিন্তু তার দায় চাপানো হচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধের ওপর। বক্তারা প্রশ্ন রাখেন, যুদ্ধের আগে কি এখানে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি? জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ব বাজারে কমলেও সরকার দাম পঞ্চাশ টাকা বাড়িয়ে পাঁচ টাকা কমিয়ে ও বাস ভাড়া পাঁচ পয়সা কমিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করছে। সার ডিজেল এর দাম বাড়িয়ে প্রমাণ করছে কৃষি-কৃষক এর কাছে সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নেই।
এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে বাধা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ আর সরকারি গুন্ডারা বলে আসছে কি কি বিষয়ে সভা সমাবেশে বলা যাবে। তারা মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেবার পর এবার কথা বলার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে।
নেতৃবৃন্দ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২