চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম সংবাদ

চট্টগ্রামে মাতৃসদন হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫

নগরীর একটি বেসরকারি মাতৃসদন থেকে চুরি যাওয়া নবজাতককে আনোয়ারা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ভোরে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে শিশুটিকেও তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই নবজাতক আনোয়ারা উপজেলার গহিরা এলাকার মো. শহিদ ও তাসমিন আক্তার দম্পতির সন্তান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শিমু দাশ (২২) ও তার স্বামী রিমন মল্লিক (২২), ওই হাসপাতালের কর্মচারী মো. মোর্শেদ (৪৬), মো. কাশেম (২৮) ও মো. সেলিমকে (৩৯) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইপিজেড থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, মমতা মাতৃসদন থেকে গত রবিবার ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় একদিন বয়সী একটি নবজাতক চুরি হয়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা হাসপাতালের তিন কর্মচারীর নামে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে রাতেই মামলা করেন। পরে অভিযানে নেমে নবজাতকটিকে আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বারখাইন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। চুরি হওয়া চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একদম্পতি ও ওই হাসপাতালের তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওসি বলেন, গ্রেপ্তার শিমু দাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জানা যায়, ওই তরুণী ইপিজেড এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। বিয়ের পর দীর্ঘদিন ধরেই তার বাচ্চা না হওয়ায় শিশু দত্তক নিতে চেয়েছিলেন শিমু। সেজন্য বিভিন্ন সময়ে তিনি মাতৃসদনে যাওয়া-আসা করতেন। ওই হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হলে পরদিন সন্ধ্যায় নার্স সেজে তিনি ওই ওয়ার্ডে যান। ইনজেকশন দেওয়ার কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালের নিচে নামেন। সে নার্স সেজে বাচ্চাটি চুরি করে পালিয়ে যায়। ওসি বলেন, সিসিটিভির ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, শিমুর সঙ্গে হাসপাতাল কর্মচারী মোর্শেদ, কাশেম ও সেলিমের সম্পৃক্ততা ছিল। তারা শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার সময় কোনো বাধা দেয়নি। চুরি হওয়া নবজাতকের মামা রায়হান উদ্দীন বলেন, গত শনিবার (২৭ আগস্ট) অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চাটির জন্ম হয়। বাচ্চাটির সবকিছুই মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। এক নারী নার্স সেজে বাচ্চাকে টিকা দিতে হবে বলে ক্লিনিকের নিচতলায় নিতে চাইলে আমার বোন নার্স মনে করে অনুমতি দেন। পরে নিচতলায় গিয়ে খোঁজাখুঁজি করলে বাচ্চাকে পাওয়া যায়নি। সিসিটিভির ফুটেজে এক নারী নবজাতককে নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়।
# ৩০.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #

চট্টগ্রামে দেড় হাজার লিটার চোরাই জ্বালানি তেলসহ চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার

নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে ১ হাজার ৫০ লিটার চোরাই জ্বালানি তেলসহ মো. নুর আলম (৩৮) নামের এক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭। এ সময় জাহাজের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটক মো. নুর আলম পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার ছোটসিফা এলাকার সেকান্দর হাওলাদারের ছেলে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‌্যাব। এর আগে রোববার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শেরশাহ এলাকার একটি দোকান থেকে এসব জ্বালানি জব্দ করা হয়। র‌্যাব-৭’র জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে বায়েজিদের শেরশাহ এলাকায় পাকা রাস্তার উপর জাহাজের চোরাই জ্বালানি তেল বেচাকেনা হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাহাজের চোরাই জ্বালানি তেল বহনকারী একটি পিকআপসহ মো. নুর আলমকে আটক করা হয়। এ সময় পিকআপ থেকে ৩৫টি তেলের ড্রামে সংরক্ষিত ১ হাজার ৫০ লিটার চোরাই জ্বালানি তেল এবং জাহাজের বিভিন্ন চোরাই সরঞ্জাম উদ্ধারসহ করা হয়। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুর আলম দীর্ঘদিন ধরে চোরাই জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে অপেক্ষাকৃত কম দামে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে আসছে বলে স্বীকার করেছে। উদ্ধার করা জ্বালানি তেলের আনুমানিক মূল্য ৮৪ হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরবর্তীআইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বায়েজিদ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
# ৩০.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #

চট্টগ্রামে এমইএস কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছুরিকাঘাতে আহত দুজন

চমেক হাসপাতালে নগরীর ওমর গণি এমইএস কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ছুরিকাঘাতে আহত অন্তত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে কলেজ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি চসিক কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর গ্রুপের মধ্যে উপ-দলীয় কোন্দলের জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ক্যাম্পাসে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনাও ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফুটবল খেলা নিয়ে প্রমি গ্রুপ ও শাহেদ গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়। এতে প্রমি গ্রুপের এক জুনিয়র কর্মী বাজি ফুটিয়ে ঘটনা আরও উসকে দিলে এ নিয়ে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়ায়। এতে দুইজন আহত হন। আহতরা হলেন- আব্দুল হামিদ রাফি(১৯) ও সালাম (১৯)। তারা দুজনই দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারি প্রমি গ্রুপের সদস্য হিসেবে পরিচিত। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রাফি মাথায় এবং সালামকে রানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। খুলশী থানার সহকারী এএসআই সাহেদ খান বলেন, এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসিমের অনুসারি দুটি গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তবে আমরা যাওয়ার আগেই দুই পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি মূলত ফুটবল খেলা নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এতে একজন আহত হওয়ার খবরও পেয়েছি।
# ৩০.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #

নানা অভিযোগে চট্টগ্রামে আরো ১২টি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

নানা অনিয়মের অভিযোগে নগরের এক হাসপাতালসহ উপজেলার আরও ১১টি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) মহানগরীসহ চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে এসব হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়। সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, নগরের ৫টি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। এসময় পাঁচলাইশের মিরর হসপিটালের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে পিপলস হাসপাতাল লিমিটেডকে ১০ দিনের জন্য হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এইসময়ের ভেতরে হাসপাতালের যাবতীয় ঘাটতি পূরণের জন্যও বলা হয়। একইভাবে ১৪ উপজেলার ২টি হাসপাতালও ৯টি ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে বোয়ালখালী ও আনোয়ারা উপজেলায় ১টি করে ২টি হাসপাতালর কাগজপত্র সঠিক না পাওয়াসহ নানান অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয়। লোহাগাড়া ও মিরসরাইয়ে ৩টি করে ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আনোয়ারা, রাঙ্গুনিয়ায় ও বাঁশখালীতে ১টি করে ৩টিসহ মোট ১১টি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে, নানান অনিয়মের অভিযোগে গত দুইদিনে মহানগর ও উপজেলাসহ মোট ২৯টি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টির সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, উপজেলায় যে সব হাসপাতালে অনিয়ম পাওয়া গেছে তা তৎক্ষনাৎ বন্ধ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরে তালিকা পাঠানো হয়েছে। অধিদফতর যে সিদ্ধান্ত দিবেন তাই বাস্তবায়ন করা হয়। লাইসেন্সবিহীন অননুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক স্টোরের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
# ৩০.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #